spot_img

২৭শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শনিবার
১১ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

সাবরিনা-আরিফসহ ৮ জনের জামিন নামঞ্জুর

করোনাভাইরাসের ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের আহবায়ক ডা. সাবরিনা শারমীন ও সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আজ বৃহস্পতিবার দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার নথি পাননি বলে পাঁচ আসামি সময়ের আবেদন করেন। বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ২০ আগস্ট দিন ধার্য করেন। অপরদিকে আট আসামির জামিন চেয়ে আবেদন করলে বিচারক তা নামঞ্জুর করেন।

এর আগে ৬ জুন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম জুলফিকার হায়াদ মামলার চার্জশিট দেখেন। এরপর তিনি মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে বদলি করেন। আদালত ১৩ আগস্ট সাবরিনা-আরিফসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।

মামলায় অভিযুক্ত অন্য আসামিরা হলেন-আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা।

৫ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সাবরিনা ও আরিফসহ আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিটটি দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী।

চার্জশিটে সাবরিনা ও আরিফকে মূলহোতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিরা প্রতারণা ও জালিয়াতি করতে তাদের সহযোগিতা করেছে।

এছাড়াও তদন্ত সংস্থা ডিবি পুলিশ জানায়, জেকেজি ১৩ হাজার ৫৮৫টি নমুনা সংগ্রহ করেছিল। এরমধ্যে ১১ হাজার ৬৬০টি জেকেজি হেলথ কেয়ার মাধ্যমে করা হয়েছে। বাকি ১ হাজার ৯২৫টি নমুনা তারা ল্যাবে পাঠায়নি, এমনকি সঠিকভাবে নমুনা সংগ্রহও করেনি। গ্রাহকের নমুনা সংগ্রহের ফর্মে দেওয়া ই-মেইল ঠিকানায় তারা একটি ফেইক ইমেইল সার্ভার ব্যবহার করে সেগুলো পাঠিয়ে দিয়েছে। এছাড়াও এমনও হয়েছে যে তারা নমুনা সংগ্রহ করেছে কিন্তু টেস্টের জন্য ল্যাবে না পাঠিয়ে নিজেরাই মনগড়া রিপোর্ট দিয়েছে।

আরো পড়ুন: দেশে স্বর্ণের দাম ভরিতে কমলো সাড়ে ৩ হাজার টাকা

গত ১২ জুলাই জেকেজি’র আহবায়ক ডা. সাবরিনা শারমীনকে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তেজগাঁও ডিসি অফিসে আনা হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদে কোনো সদুত্তর দিতে না পারায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর তাকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এরআগে গত ২৩ জুন জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল চৌধুরীসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আগের দিন আশকোনা থেকে হুমায়ুন কবীর ও তার স্ত্রী তানজিনা পাটোয়ারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত এপ্রিলে কোভিড-১৯ এর নমুনা পরীক্ষার জন্য অনুমতি পায় জোবেদা খাতুন সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা জেকেজি হেলথ কেয়ার। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নমুনা সংগ্রহ করার নামে তারা কোনো ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই তৈরি করতেন ‘করোনার পজিটিভ-নেগেটিভ রিপোর্ট’।

জেকেজি বিনামূল্যে নমুনা সংগ্রহের জন্য ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের পৃথক ছয়টি স্থানে ৪৪টি বুথ স্থাপন করেছিল। এসব এলাকা থেকে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৩৫০ জনের নমুনা সংগ্রহ করত জেকেজি। শর্ত ছিল, সরকার নির্ধারিত ল্যাবরেটরিতে নমুনা পাঠাতে হবে। জেকেজি হেলথ কেয়ার ওভাল গ্রুপের একটি অঙ্গসংগঠন।

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss