বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটিয়ে বিএনপি চেয়ারপারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করা হবে। খালেদা জিয়া শুধু বিএনপি নেত্রী নন, সকল গণতন্ত্রকামী মানুষের নেত্রী। সরকার মিথ্যা মামলায় তাকে কারাগারে আটক করে রেখেছে। তাকে কারাগার থেকে মুক্ত করতে হবে। এজন্য থানায় থানায়, ইউনিয়নে ইউনিয়নে যেতে হবে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে অধিকার আদায়ে সোচ্চার হতে হবে। খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে গতকাল শনিবার বিকেলে বিএনপি চট্টগ্রাম বিভাগীয় মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। নগরীর নাসিমন ভবনস্থ নগর বিএনপি কার্যালয়ের সামনে নুর আহমদ সড়কের একপাশে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ চলাকালীন সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় মহাসমাবেশে নগরীর সকল ওয়ার্ড ও থানা, উত্তর ও দক্ষিণ জেলার সকল উপজেলা থেকে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও সমাবেশে তিন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষীপুর জেলা থেকেও বিপুলসংখ্যক বিএনপি নেতাকর্মী যোগ দেন।
মামলা আতংকে বিএনপির নেতাকর্মীরা নিজ ঘর-এলাকা ছেড়ে ভিন্ন এলাকায় গিয়ে রিকশা চালাচ্ছেন বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, শিশু থেকে বৃদ্ধা কেউ মামলার হাত থেকে রেহায় পাচ্ছে না। জুলুম-নির্যাতন সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে গেছে। ১৯৭২ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এরকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিলো।
খালেদা জিয়াকে সার্বভৌমত্বের প্রতীক উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ৩০ থেকে ৪০ বছর দেশের মানুষের জন্য সংগ্রাম করেছেন। স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে দেশের মানুষকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছেন। অথচ তার বিরুদ্ধে এখনও ৩৬টি মামলা দেয়া আছে। বিএনপির এমন কোনো নেতাকর্মী নেই, যার বিরুদ্ধে মামলা হয়নি।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শাররিক অবস্থা ভালো নেই। তার ব্লাড প্রেসার ও সুগার ওঠানামা করছে। কিন্তু বেগম জিয়ার প্রাপ্য চিকিৎসাসেবা তাকে দেওয়া হচ্ছে না। অতি দ্রুত মুক্তি দিয়ে তার প্রাপ্য চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি বলেন, সরকারের হাতে এখন সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ। বিচার বিভাগ, পুলিশ বিভাগ, আইন বিভাগসহ সাংবিধানিক সব বিভাগ সরকার নিয়ন্ত্রণ করছে। তাই সরকার চাইলেই বেগম জিয়া মুক্তি পাবেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের অনেক জায়গায় বন্যা হচ্ছে। লাখো মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। কিন্তু সেদিকে সরকারের মাথাব্যথা নেই। বন্যাপীড়িতদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন না সরকারের কর্তা ব্যক্তিরা। তারা জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে এখন মৌলিক অধিকারও হরণ করছে।
নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে নতুন নির্বাচন দেওয়ার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রতিবন্ধী নির্বাচন কমিশনারে পরিণত হয়েছেন। এই নির্বাচন কমিশন বাতিল করতে হবে। সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের দিয়ে নতুন কমিশন গঠন করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।’
তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা প্রিয় মানুষের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে কারাগারে আটকে রেখেছে। খালেদা জিয়ার অপরাধ এই অবৈধ সরকারের অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। গুম, খুনের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। সেই গণতন্ত্রের মা খালেদা জিয়া গত ১৬ মাস ধরে কারাগারে বন্দী। আন্দোলনের মাধ্যমে বিএনপি তাঁকে মুক্ত করে আনবে।
বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, ‘সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলে দেশে এখন নৈরাজ্য চলছে। কোথাও জবাবদিহিতা নেই। মানুষের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। একেক জন বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুব্দে ৩০/৪০টি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, সরকার বাজেট ঘোষণা করার পর থেকে জিনিসপত্রের দাম ™ি^গুণ হয়ে গেছে। বাংলাদেশে নাকি উন্নয়নের জোয়ার বইছে। বাংলাদেশ নাকি উন্নয়নের রোল মডেল। কিন্তু এখনতো মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা লুট চলছে। ব্যাংক লুট হচ্ছে, শেয়ার বাজার লুট হচ্ছে।’ তারেক জিয়ার কথা প্রচার করতে না দেওয়ায় সমাবেশে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্করের সঞ্চালনায় চট্টগ্রামে বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ২টা থেকে সমাবেশের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। এতে বিপুল সংখ্যক লোকগমাগম ঘটে।
খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকারের পতন এক সূত্র গাঁথা মন্তব্য করে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিয়ে সরকার তাকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকার তাকে জেলে আটকে রেখেছে।’
তিনি বলেন, ‘সরকার ভয় পায় বলেই খালেদা জিয়াকে জেলে আটকে রেখে নির্বাচন করেছেন। এমনকি ৩০ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ২৯ ডিসেম্বর রাতেই নির্বাচন করে ফেলেছেন। নির্বাচনে জয়লাভের পর দেশে অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে রেখেছে।’
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘সরকার রাতের আঁধারে ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছে। তাই তাদের ভোট দেওয়ার সাহস নেই। আওয়ামী লীগের এজেন্ডা হচ্ছে বিএনপিকে ধ্বংস করা। কিন্তু আগামী ১০০ বছরেও এই বিএনপিকে নিশ্চিন্ন করা যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘দেশে এখন ১১ লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে। রোহিঙ্গা সংকটের জন্য সরকারই দায়ী। রোহিঙ্গারা অপরাধে জড়িয়ে পড়বে। তাই রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফেরত পাঠাতে হবে। নতুবা এই সংকট আরো বড় হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ^র চন্দ্র রায় বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি নয়, শেখ হাসিনার পতন চাই। বরং এটা করতে পারলেই গণতন্ত্র মুক্তি পাবে। ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা হলে প্রথম মামলাটি হবে চুরির মামলা বলে মন্তব্য করে তিনি।
গয়েশ^র আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে কাকা সম্বোধন করে তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের কাকা বলেছেন বিএনপি নাকি সংসদে যাওয়ায় এই সংসদ অবৈধ বলা যাবে না। বিএনপি সংসদে গেলেই অবৈধ সংসদ বৈধ হয়ে যাবে।’
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘সরকারে একজন নাবালক মন্ত্রী আছেন। যিনি নিজের মন্ত্রণালয় নিয়ে কথা বলেন না। কেবল খালেদা জিয়া নতুবা তারেক রহমান ও বিএনপিকে নিয়েই সমালোচনা করে থাকেন এই মন্ত্রী। ২৯ ডিসেম্বর রাতে ভোট নিয়ে অবৈধ সরকারের লেজকাটা এই মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া নাকি দেশের জন্য বিপজ্জনক।’
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
সমাবেশে তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতাকর্মীরা এখন আর নির্যাতন-নিপীড়ন, মামলা-মোকদ্দমাকে ভয় পায় না। তারা জ্বলেপুড়ে খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছেন। আর সোনা সোনাই থাকে।’
তিনি বলেন, ‘একটি নির্বাচনে ভোট চুরি করে ক্ষমতায় যেতে হবে। এজন্য আগে থেকেই মিথ্যা মামলায় জেলে আটকে রাখা হয়েছে খালেদা জিয়াকে। এখন ক্ষমতায় টিকে থাকতে তারা গণতন্ত্রের মাকে জেলে আটকে রেখেছে।’ তিনি বলেন, আমি নিজেও বিএনপির সংসদে যাওয়ার বিপক্ষে ছিলাম। কিন্তু কেউ যাতে বলতে না পারে বিএনপির কারণে গণতন্ত্র ব্যাহত হচ্ছে। এজন্য বিএনপি সংসদে গেছে।’
সমাবেশে বিশেষ অতিথি আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, সরকারের নির্যাতন-নিপীড়ন, খুন, গুম, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে যেতে হয়েছে। রাজনৈতিক ঈর্ষায় বশবর্তী হয়ে সরকার তারেক রহমানকে সাজা দিয়েছে। আওয়ামী লীগ জনবিচ্ছিন্ন একটি দল। পেশী শক্তি দিয়ে তারা ক্ষমতায় থাকতে চায়। দেশের জনগণ তাদের আর সুযোগ দেবে না। রাজপথে গণআন্দোলনের এ অবৈধ সরকারের পতন ঘটানো হবে।
বিশেষ অতিথি বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, বিএনপিকে নিঃশেষ করা যাবে না। বিএনপি গণমানুষের দল। বিএনপি ধর্ণা দেওয়ার দল না। বেগম জিয়ার মুক্তির আন্দোলন চট্টগ্রাম থেকেই হবে। তাঁর মুক্তিতে সামনে কঠোর কর্মসূচি আসবে। তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
মীর নাছির বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি আইনি প্রক্রিয়ায় আর সম্ভব নয়। তাই তাকে কারামুক্ত করতে এখন কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আর সেই আন্দোলনের সূত্রপাত হবে চট্টগ্রাম থেকে।
সমাবেশের সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন চট্টগ্রাম থেকে শুরু করা হবে।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ শাহাজান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, বরকত উল্লাহ বুলু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, অধ্যাপক সুকোমল বড়ূয়া, এসএম ফজুলুল হক, অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, জয়নাল আবেদীন ফারুক, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, বেগম রোজি কবির, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় মৎস্য সম্পাদক লুৎফর রহমান কাজল, শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, মহিলা সম্পাদক নুরী আরা সাফা, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দীন মজুমদার, হারুনুর রশীদ ভিপি, সহ দপ্তর সম্পাদক বেলাল আহমেদ, সহ ধর্ম সম্পাদক এড, দীপেন দেওয়ান, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল, মশিয়ুর রহমান বিপ্লব, মজিবুর রহমান, আবদুল ওয়াদুদ ভূইয়া, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু, কক্সবাজার জেলার সভাপতি শাহজান চৌধুরী, রাঙামাটির সভাপতি শাহ আলম, বান্দরবানের সভাপতি সাচিং প্রু জেরী, কেন্দ্রীয় তাতী দলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, ইয়াসিন আলী, বিএনপি নেতা এম এ আজিজ, এড. আবদুস সাত্তার, দীপন তালুকদার দিপু, এস কে খোদা তোতন, শেখ মহিউদ্দীন, ইদ্রিস মিয়া চেয়ারম্যান, চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দীন, নাজিমুর রহমান, রফিকুল আলম মজনু, শহিদুল ইসলাম ফরহাদ, কর্নেল আজিম উল্লাহ বাহার, মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, মো. জাবেদ রেজা, আলী আব্বাস, নুরুল আমিন, জসিম উদ্দীন সিকদার, কাজী বেলাল উদ্দীন, শাহ আলম, আবদুল মান্নান, আহমেদুল আলম রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, এড, আবু তাহের, মাহবুবুল আলম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক ফাতেমা বাদশা, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি কাউন্সিলার মনোয়ারা বেগম মনি, সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা যুবদল সভাপতি মো. শাহজান, উত্তর জেলা যুবদল সভাপতি হাসান জসিম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু প্রমুখ।
চস/আজহার