দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে আরও ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪ হাজার ১২৭ জনে। এসময় নতুন করে আরো আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৪৩৬ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩ লাখ চার হাজার ৫৮৩ জনে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে দেশের ৯২টি পরীক্ষাগারের তথ্য তুলে ধরে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৫ হাজার ৫০১টি নমুনা সংগৃহীত হয়েছে। এর মধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ১২৪টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হল ১৫ লাখ ৩৮৫টি।
একদিনে আরো ৩ হাজার ২৭৫ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ৯৩ হাজার ৪৫৮ জন হয়েছে।
আরো পড়ুন: চট্টগ্রামে করোনায় শনাক্ত আরও ৭৪
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ১১ শতাংশ, এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৩০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৬৩ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৩৫ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৪৫ জনের মধ্যে পুরুষ ৩৪ জন এবং নারী ১১ জন। এ পর্যন্ত মৃত ৪ হাজার ১২৭ জনের মধ্যে ৩ হাজার ২৪২ জন; যা শতাংশের হিসাবে ৭৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং নারী রয়েছেন ৮৮৫ জন; যা শতাংশের হিসাবে ২১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
মৃতদের বয়স বিভাজনের বলা হয়েছে, একদিনে মৃতদের মধ্যে ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী রয়েছে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের সাতজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ১১ জন এবং ষাটোর্ধ্ব বয়সের মারা গেছেন ২৫ জন।
গেল ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন যথারীতি ঢাকাতেই, ২২ জন। এছাড়াও চট্টগ্রামে মারা গেছেন ১০ জন, রংপুরে ছয়জন, খুলনায় পাঁচজন এবং রাজশাহী ও সিলেটে একজন করে মারা গেছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৪২ জন এবং বাড়িতে থেকে মারা গেছেন তিনজন।
গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম আক্রান্ত শনাক্তের পর দ্রুত সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে নভেল করোনাভাইরাস। মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয় বিশ্বের অধিকাংশ এলাকা। জন হপকিনসের হিসাব অনুযায়ী, আজ বিকেল পর্যন্ত এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৪১ লাখ ৯৩ হাজারেরও বেশি। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৮ লাখ ২৬ হাজার। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। প্রথম মৃত্যুর খবর জানানো হয় ১৮ মার্চ।
চস/স