মহামারী নভেল করোনাভাইরাস ছড়ানো ঠেকাতে ইউরোপ ও আমেরিকাজুড়ে পোশাকের আউটলেটগুলো বন্ধ হওয়ার মধ্যে বিদেশি ক্রেতারা বাংলাদেশি পোশাকের অন্তত ৩৭০ কোটি ডলার বা ৩১ হাজার ২৯০ কোটি টাকার বেশি ক্রয়াদেশ বাতিল করেছে। পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ-কে উদ্ধৃত করে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশ করা হচ্ছে।
লন্ডনভিত্তিক প্রভাবশালী দৈনিক পত্রিকা দ্য টাইমস বাংলাদেশের গার্মেন্টস-খাত নিয়ে রবিবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে এই তথ্য উল্লেখ করে জানানো হয়েছে, ব্রিটিশ কোম্পানিগুলো অর্ডার বাতিল করায় এই সময়ে বাংলাদেশের বিপদ বেশি বেড়েছে।
মার্চের শেষ দিকে বিজিএমইএ থেকে দাবি করা হয়, ১৪৮ কোটি ডলারের তৈরি পোশাকের ক্রয়াদেশ বাতিল হয়েছে।
ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৯৩১টি বিদেশি ফ্যাশন ব্র্যান্ড তাদের অর্ডার বাতিল করেছে। এরমধ্যে যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের বড় প্রতিষ্ঠান রয়েছে প্রায় ২০টি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আছে আরও দশটি।
চীন থেকে নভেল করোনাভাইরাসের নতুন কেন্দ্র ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ার পর কোয়ারেন্টাইন ও জনসমাগম বন্ধসহ সতর্কতামূলক নানা পদক্ষেপের মধ্যে চাহিদা কমে যাওয়ায় বিশ্বজুড়ে পোশাকের খুচরা বিক্রিতে ধস নামে।
ব্র্যান্ডগুলোর খুচরা বিক্রির দোকানগুলো একে একে বন্ধ হয়ে যায়।
ট্রেডক্রাফট এক্সচেঞ্জের দেয়া তথ্য থেকে জানা গেছে, জুন পর্যন্ত ব্রিটিশ কোম্পানিগুলো শুধু বাতিল করেছে ১ বিলিয়ন ডলারের অর্ডার। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাতিল হয়েছে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের অর্ডার। জার্মানি, সুইডেন, ফ্রান্স এবং স্পেন থেকে বাতিল হয়েছে আরও ১০০ মিলিয়ন করে।
চস/এএম