ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি পরিচালনার জন্য আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার (১৮ অক্টোবর) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
অন্য সদস্যরা হলেন- সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল আহসান, মাহবুবুল করিম, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট ফখরুদ্দিন আহম্মেদ, আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
এর আগে গত ১২ অক্টোবর বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ ইভ্যালি পরিচালনার জন্য কমিটি করে দেওয়ার কথা বলেন। এ বিষয়ে গত বুধবার হাইকোর্টের আদেশ দেওয়ার কথা ছিল। পরে আদেশের দিন পেছানো হয়।
এদিকে, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সব নথি হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে। গত ১১ অক্টোবর বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চে এসব নথি দাখিল করেন জয়েন্ট স্টক কোম্পানির রেজিস্ট্রার।তার আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির সব নথি তলব করেন হাইকোর্ট। ১১ অক্টোবরের মধ্যে জয়েন্ট স্টক কোম্পানির রেজিস্ট্রারকে আদালতে সব নথি দাখিল করতে বলা হয়।
ইভ্যালির সম্পত্তিতে নিষেধাজ্ঞার আদেশের ধারাবাহিকতায় বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসাইন।
গত ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ইভ্যালিকে কেন অবসায়ন করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত। এজন্য একটি নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিবাদীদের নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়। ইভ্যালির একজন গ্রাহকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন আদালত।
আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসেন জানান, ফরহাদ হোসেন নামে এক গ্রাহক গত মে মাসে ইভ্যালিতে একটি ইলেকট্রনিক পণ্য অর্ডার করেন। অর্ডারের সময়ই পণ্যের সম্পূর্ণ মূল্য তিনি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করেন। বিনিময়ে ইভ্যালি তাকে একটি রশিদ দেয়। অর্ডার দেওয়ার পর দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও পণ্যটি তাকে হস্তান্তর করেনি ইভ্যালি। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা পণ্য দেওয়ার আশ্বাস দেয়। কিন্তু টাকা রিফান্ড বা পণ্য কোনোটিই না পেয়ে অবশেষে তিনি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। আবেদনে ওই গ্রাহক ইভ্যালির অবসায়ন চান।
তিনি বলেন, ফরহাদ হোসেনের আবেদনটি আদালত অ্যাডমিট করে আদেশ দেন। আদেশে আদালত বলেছেন, ইভ্যালির যত সম্পদ আছে সেটা যেন বিক্রি অথবা ট্রান্সফার (হস্তান্তর) না করা হয়। একইসঙ্গে ইভ্যালিকে কেন অবসায়ন করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত। এ ব্যাপারে আদালত একটি নোটিশ ইস্যু করেছেন। বিবাদীদের আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়।
গ্রাহকের আবেদনে বিবাদী করা হয়, ইভ্যালি লিমিটেড, রেজিস্ট্রার জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মস, বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, কনজ্যুমার রাইটস প্রটেকশন ব্যুরো, নগদ, বিকাশ, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, ই-ক্যাব অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বেসিস, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্য সচিবকে।
সূত্র: আমাদের সময়
চস/স