মাসখানেক আগের প্রতি কেজি মরিচের দাম ছাড়িয়ে গিয়েছিল ২৫০ টাকা। পণ্যটির আকাশছোঁয়া এ দামে ক্রেতারা ছিলেন অস্বস্তিতে। তবে ফলন ভালো হওয়ার পাশাপাশি ভারত থেকে আমদানি শুরু হলে দাম কমতে থাকে। এক মাসের ব্যবধানে দাম চার ভাগের এক ভাগে নেমে এসেছে। একইভাবে পরিবহন ভাড়া বেড়ে যাওয়ার অজুহাতে কয়েক ধাপে বেড়ে ১৬০ টাকায় পৌঁছেছিল ডিমের ডজন। সরকারের উদ্যোগে প্রতি ডজন ডিমে দাম কমেছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। বলা চলে, এ দুই খাদ্যপণ্যের দাম যেভাবে বেড়েছিল, কমেছে সেভাবেই।
ডিম ও কাঁচামরিচের দাম কমলেও কমেনি মুরগির দাম। এ ছাড়া শাকসবজির বাজারেও অস্থিরতা বিরাজ করছে।
মরিচ বিক্রেতা আবুল কালাম বলেন, মাঝে কয়েক দিন বৃষ্টি বেশি থাকায় মরিচের ক্ষেতে পানি জমেছিল। তখন গাছ মরে যাওয়ায় ফলন কমেছে। এখন ফলন ভালো হচ্ছে। বাজারে আসছেও বেশি। তাছাড়া আমদানি করা মরিচের সরবরাহও বেড়েছে। তাই দামও কমতির দিকে।
ডিমের দামও কমেছে। জ্বালানির মূল্য বাড়ায় দফায় দফায় বাড়ে ডিমের দাম। ১৬০ টাকা উঠেছিল প্রতি ডজন ডিমের দাম। তবে হালি হিসেবে দর ছিল আরও বেশি। প্রতি হালি ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হতো। এরপর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডিম আমদানির উদ্যোগের আভাস ও জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের কঠোর বাজার তদারকিতে দাম কমতে শুরু করে। বর্তমানে ডিমের ডজন পাওয়া যাচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়।
ডিমের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে যৌক্তিক কোনো কারণ দাঁড় করাতে না পারলেও সরবরাহ বাড়ার কারণে দাম কমছে বলে জানান খুচরা ব্যবসায়ীরা। তেজকুনিপাড়া এলাকার মুরগি ও ডিম বিক্রেতা রায়হান বলেন, পাইকারি বাজারে ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। বাজারে ডিমের সরবরাহ বেড়েছে বেশি। এ কারণে দাম কমে আসছে।
তবে ব্রয়লার মুরগির দাম কমেনি। আগের মতোই ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি জাতের মুরগিও আগের দরে ২৮০ থেকে ২৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সবজির বাজারে এখনও স্বস্তির দেখা মেলেনি। দু-একটি ছাড়া বেশিরভাগ সবজির দাম ৫০ টাকার ওপরে। তবে শিম, গাজর ও টমেটোর কেজি ১০০ টাকারও বেশি। শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়, টমেটো ১০০ থেকে ১২০ এবং গাজর ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চস/আজহার