spot_img

৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, বৃহস্পতিবার
১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

বাজেটে বাড়তে পারে যেসব পণ্যের দাম

আগামী ১ জুন পরবর্তী অর্থবছরের (২০২৩-২০২৪) জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার। এই বাজেটে বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম বাড়তে পারে বলে জানা গেছে। এসব পণ্য ও পণ্যের উপকরণে শুল্ক বাড়ানো এবং ভ্যাট বসানোর ঘোষণা থাকছে।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল শুল্ক বাড়ানো ও ভ্যাট আরোপের এ ঘোষণা দিতে পারেন। আগেই এমন আভাস দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।

আমদানি করা মোবাইল ফোন, প্লাস্টিক ও অ্যালুমিনিয়ামের তৈজসপত্র, বাসমতি চাল, চশমা, কাজু বাদাম, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, সিগারেট, জর্দা-গুল, খেজুর ও বিদেশি টাইলসসহ আরও কয়েকটি পণ্যের দাম বাড়তে পারে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট দপ্তর জানায়, প্লাস্টিকের তৈরি সব ধরনের টেবিলওয়্যার, কিচেনওয়্যার, গৃহস্থালি সামগ্রীর দাম বাড়তে পারে। এসব পণ্যে বর্তমানে ৫ শতাংশ ভ্যাট কার্যকর আছে। আগামী বাজেটে তা বাড়িয়ে ৭ শতাংশ হতে পারে। আর তা বাড়লে বাজারে প্রভাব পড়তে পারে।

সূত্র বলছে, ভ্যাট বাড়ানো হচ্ছে অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি গৃহস্থালি সামগ্রী ও তৈজসপত্রে (হাড়ি-পাতিল, থালা-বাসন) ভ্যাট বাড়ানো হচ্ছে। শুল্ক বাড়তে পারে মোবাইল আমদানিতে। ফলে এর প্রভাব পড়তে পারে গ্যাজেটপ্রেমীদের পকেটে।

বাজেটে সব ধরনের ওভেন আমদানির শুল্ক ৩০ শতাংশ বাড়িয়ে মোট করহার ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এতে বিদেশি ওভেনের দাম বাড়তে পারে। অবশ্য দেশে ওভেন উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা দেওয়া আছে। ফলে বিদেশি ওভেনের দাম বাড়লেও দেশি ওভেনের দাম নাও বাড়তে পারে।

স্থানীয় উৎপাদনকে সুরক্ষা দিতে এবং আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে কাজু বাদামে। কাজু বাদাম আমদানিতে শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৩ শতাংশ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের ফল ও বাদামের আমদানিতে শুল্ক বাড়ানোর পরিকল্পনায় সামনে এসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের চলমান ৫ বছরের মেয়াদের শেষ বাজেট হবে এবার। এমন এক সময়ে এসে এই বাজেট ঘোষণা করা হচ্ছে যখন খাদ্য থেকে জ্বালানি ও পরিবহন ভাড়া থেকে শুরু করে ইউটিলিটি বিল পর্যন্ত প্রায় সব কিছুরই উচ্চমূল্যের সঙ্গে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

সরকার চায় আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি যাতে ৭ দশমিক ৫ শতাংশে পৌঁছায় এবং মূল্যস্ফীতির হার ৬ শতাংশের কাছাকাছি থাকে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রভিশনাল হিসাব বলছে, চলতি অর্থবছরে জিডিপি বেড়েছে ৬ দশমিক ০৩ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতির হার এপ্রিল পর্যন্ত ছিল ৮ দশমিক ৪ শতাংশ।

আগামী বাজেটের আকার বর্তমান বাজেটের চেয়ে ১২ দশমিক ৩৪ শতাংশ বড় হবে। বাজেটটি ৫০ লাখ ৬ হাজার ৬৭২ কোটি টাকার প্রাক্কলিত জিডিপির ১৫ দশমিক ২১ শতাংশ, যা চলতি অর্থবছরে ছিল ১৫ দশমিক ২৭ শতাংশ।

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss