spot_img

২৫শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার
১০ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সর্বশেষ

আয়কর রিটার্ন অডিটে এনবিআরের নতুন নির্দেশনা

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়কর রিটার্ন অডিটে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বাড়াতে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। ‘আয়কর রিটার্ন অডিট নির্দেশনা, ২০২৫’ শিরোনামে প্রকাশিত এই গাইডলাইনে করদাতাদের রিটার্ন যাচাই-বাছাই, অডিট পরিচালনা, প্রতিবেদন প্রস্তুত ও নিষ্পত্তির প্রতিটি ধাপ বিস্তারিতভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে।

রবিবার (১৭ আগস্ট) এনবিআর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘আয়কর আইন, ২০২৩’ এর ১৮০ ও ১৮২ ধারার আলোকে কোনও রিটার্নে অসঙ্গতি বা ঝুঁকি চিহ্নিত হলে সেটিকে অডিটের আওতায় আনা হবে। এর লক্ষ্য হলো করফাঁকি প্রতিরোধ, কর সংস্কৃতি উন্নয়ন এবং কর আইন বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।

রিটার্ন নির্বাচনের পদ্ধতি

অডিটের জন্য রিটার্ন বাছাই হবে ঝুঁকিভিত্তিক অটোমেটেড সিস্টেমে, যাতে মানবীয় হস্তক্ষেপ কম থাকে। তবে কাগজে দাখিল করা রিটার্নের ক্ষেত্রে আপাতত র‌্যান্ডম বাছাই চলবে। কোম্পানি ও অন্যান্য করদাতার রিটার্ন আলাদাভাবে যাচাই করে বোর্ডের অনুমোদনে অডিট করা হবে।

প্রসেসকৃত রিটার্ন বা নতুন করদাতার প্রথম রিটার্ন সাধারণত অডিটে আনা হবে না— যদি না তাতে সরাসরি রাজস্ব ক্ষতি দেখা যায়। একই করদাতাকে টানা তিন বছর অডিটে না আনার বিধান রাখা হয়েছে। তবে লোকসান, শূন্য আয় বা অস্বাভাবিকভাবে কম আয় দেখানো হলে রিটার্ন অডিটে নেওয়া যাবে। আগে যাদের কখনও অডিট হয়নি, সেই রিটার্ন থেকে অন্তত এক-তৃতীয়াংশ বাছাই করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

অডিটের ধাপ

রিটার্ন নির্বাচনের পর করদাতাকে ৩০ দিনের মধ্যে নোটিশ দেওয়া হবে। সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিলে অডিট থেকে অব্যাহতি মিলবে। অন্যথায় কর পরিদর্শক মাঠ পর্যায়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেবেন। করদাতা চাইলে সংশোধিত রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। তা করলে অডিট নিষ্পত্তি হবে, না করলে আইন অনুযায়ী কর নির্ধারণ হবে। অগ্রগতির মাসিক প্রতিবেদন বোর্ডে পাঠানো বাধ্যতামূলক।

ব্যক্তি করদাতাদের অডিটে নজরদারি

ব্যক্তি করদাতাদের আয়কর অডিটে বেতনভিত্তিক আয়, ব্যাংক হিসাব, ভাড়া আয়, কৃষি আয়, রেমিট্যান্স, বিনিয়োগ আয় ও জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গতি খুঁটিনাটি যাচাই করা হবে। আয়ের সঙ্গে সম্পদ ও ব্যয় সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা, তা বিশেষভাবে দেখা হবে।

কোম্পানি করদাতাদের ক্ষেত্রে

কোম্পানির ক্ষেত্রে নিরীক্ষিত হিসাব জমা বাধ্যতামূলক থাকবে। টার্নওভার ও ব্যাংক জমার সঙ্গে ব্যয় মিলছে কিনা, অপ্রাসঙ্গিক খরচ দেখানো হয়েছে কিনা, উৎসে কর যথাযথভাবে কাটা হয়েছে কিনা— এসব খুঁটিয়ে দেখা হবে। নতুন ঋণ বা দেনা সঠিকভাবে প্রদর্শিত হয়েছে কিনা এবং আয়কর আইনের ধারা মানা হয়েছে কিনা, তাও অডিটের আওতায় আসবে।

এনবিআর জানিয়েছে, নতুন নির্দেশনা কার্যকর হলে অডিট প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে, রাজস্ব আয় বাড়বে এবং করদাতাদের মধ্যে আস্থা তৈরি হবে।

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss