আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর শতভাগ ডিজিটালাইজেশন যুগে প্রবেশ করবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস. এম. মনিরুজ্জামান। এজন্য তিনি সকলকে প্রযুক্তিগতভাবে এগিয়ে থাকার আহবান জানান।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টায় বিশ্ব নৌ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স এসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) উদ্যোগে নগরীর টাইগারপাসস্থ নেভি কনভেনশন হলে এই সেমিনারে আয়োজন করা হয়।
এস. এম. মনিরুজ্জামান বলেন, বন্দর ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্বের অধিকাংশ উন্নত বন্দর ও সামুদ্রিক অবকাঠামো দ্রুত ডিজিটাল প্রযুক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম, ফাইভ-জি প্রযুক্তির ব্যবহার, উন্নত ইআরপি সিস্টেম, স্বয়ংক্রিয় টার্মিনাল ও ক্রেন ব্যবস্থাপনা। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে চট্টগ্রাম বন্দরেরও নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে হবে। ইতোমধ্যে আমরা ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম চালু করেছি। অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ তার মেরিন বা নৌপরিবহন খাতকে আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে প্রযুক্তিনির্ভর করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম ও মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ, মোংলা ও পায়রা বন্দরের উন্নয়ন মেরিটাইম একাডেমি ও ইনস্টিটিউট স্থাপন করে এই সেক্টরে বিশাল সম্ভাবনা তৈরি করা হচ্ছে, যা দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে।
সংগঠনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন। অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের প্রেরিত ভিডিও বার্তা উপস্থাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে মেরিটাইম সেক্টরে সাহসী ভূমিকা এবং বিভিন্নভাবে অবদানের জন্য যথাক্রমে সাহসিকতার পুরষ্কার (Bravery Award) এবং এক্সিলেন্স এওয়ার্ড (Excellence Award) প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইকেলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসবিআরএ) সভাপতি আমজাদ হোসেন চৌধুরী, বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক কামরুল ইসলাম মজুমদার ও পোর্টসার্ভ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের সাবেক পরিচালনা পর্ষদ সদস্য খায়রুল আলম সুজন।
চস/স