রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজে আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু করলো “সরকারি তিতুমীর কলেজ রিসার্চ ক্লাব”।
আজ বুধবার, ১৬ মার্চ ২০২২, সংগঠনটিকে অনুমোদন দিয়েছে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর তালাত সুলতানা।
গবেষণায় আগ্রহী বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এবং পরিসখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. গালিব হোসাইনের তত্ত্বাবধানে উক্ত ক্লাবের যাত্রা শুরু হয়। উক্ত ক্লাবের উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন রাষ্টবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মালেকা বিলকিস।
ক্লাবের আহ্বায়ক আলী আহমদ (অর্থনীতি, ২০১৮-১৯) ও সদস্য সচিব জিহাদুল ইসলাম শাওন (রসায়ন, ২০১৮-১৯)। এছাড়া আহবায়ক দলের অন্যান্য সদদ্যরা হলেন নুসরাত নাসরিন সামিরা (উদ্ভিদ বিজ্ঞান, ২০১৮-১৯), জাহিদ হাসান রাকিব (ইংরেজি, ২০১৭-১৮), চন্দন মন্ডল (অর্থনীতি ২০১৯-২০), আকিব হোসেন আকি (রসায়ন ২০১৯২০), জাহাঙ্গীর আলম( ইংরেজি, ২০১৮-১৯), তাহিয়া মোয়ানিসাত (রসায়ন, ২০১৯-২০), মো. সিহাবুদ্দিন (অর্থনীতি, ২০১৯-২০), মো. আশিক (হিসাববিজ্ঞান,২০১৯-২০) ও নুরজাহান আক্তার নিপা( অর্থনীতি, ২০১৯-২০)।
রিসার্চ ক্লাব সম্পর্কে তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর তালাত সুলতানা বলেন, ‘আমাদের সন্তানেরা গবেষণার মত এত চমৎকার কাজ করছে! এটি নিশ্চয়ই প্রশংসার যোগ্য।‘
রিসার্চ ক্লাবের আহ্বায়ক আলী আহমদ বলেন, ‘গবেষণার প্রতি ব্যক্তিগত আগ্রহের জায়গা থেকে অনার্সে ভর্তি হওয়ার শুরু থেকেই বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও গবেষকের সাথে গবেষণা শিখার জন্য কাজ করতে চেয়েছি। কিন্তু বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে প্রত্যাশা মত সুযোগ পাই নি। অবশেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সংসদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা আমাদের একটি টিম তৈরির পরমর্শ দেন। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ ও ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে গবেষণায় আগ্রহী বেশকিছু শিক্ষার্থীর সন্ধান পাই। তাদের নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সংসদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা আমাদের দিক নির্দেশনা প্রদান করে এবং এক পর্যায়ে আমারা পরিসংখ্যান বিভাগের শ্রদ্ধেয় গালিব হোসাইন স্যার কে আমাদের মোডারেটর হিসেবে পাই।‘
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই সরকারি তিতুমীর কলেজে গবেষণায় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের নিয়ে একসাথে কাজ করতে। গবেষণার ক্ষেত্রে যে সব সীমাবদ্ধতা রয়েছে, সেগুলো দূর করে বাংলাদেশে আন্ডারগ্রাজুয়েট রিসার্চ কালচার গড়ে তুলতে অন্যান্য রিসার্চ সোসাইটি ও ক্লাবের সাথে কোলাবোরশন করে কাজ করতে।
উল্লেখ্য, স্নাতকে যাঁরা গবেষণা করছেন, গবেষণাপত্র প্রকাশ করছেন, তাঁদের বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ অনেক বেশি। গবেষণার অভিজ্ঞতা থাকলে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের নামীদামি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণার অভিজ্ঞতা বিদেশে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়ে দেয়। দেশে গবেষণার অভিজ্ঞতা থাকলে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ক্ষেত্রে অনুদান, ফেলোশিপ, অ্যাসিস্ট্যান্সি, বৃত্তির মাধ্যমে আর্থিক সহযোগিতা পাওয়ার সুযোগ থাকে। গবেষণা শুধু উচ্চশিক্ষার সুযোগকে বিস্তৃত করে না, ভবিষ্যতের কর্মবাজারেও দারুণ কার্যকর।
চস/আজহার