spot_img

২০শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, বুধবার
৫ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

মিতু হত্যা মামলা: তদন্তের অগ্রগতির প্রতিবেদন হাইকোর্টে

সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তদন্ত অগ্রগতির  প্রতিবেদন হাইকোর্টে আজ (৩১ জানুয়ারি) দাখিল করা হয়েছে। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা প্রতিবেদনটি দাখিল করেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারোয়ার হোসেন বাপ্পী আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি মিতু হত্যা মামলার তদন্তের অগ্রগতির প্রতিবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

গত বছরের ২ ডিসেম্বর আলোচিত চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তদন্তের লিখিত অগ্রগতির প্রতিবেদন চান হাইকোর্ট। এক আসামির শুনানিকালে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন।

আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী শংকর প্রসাদ দে। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারোয়ার হোসেন বাপ্পী।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারোয়ার হোসেন বাপ্পী ওই দিন বলেন, মামলার আসামি ওয়াসিমের জামিন শুনানিকালে পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা হাজির হয়ে বলেছেন, তিনি কিছুদিন আগে তদন্তভার পেয়েছেন। এরপর আদালত ৩১ জানুয়ারির মধ্যে তদন্তের লিখিত অগ্রগতির প্রতিবেদন চান। আর জামিন আবেদন ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।

আইনজীবী শংকর প্রসাদ দে জানান, তাঁর মক্কেল (ওয়াসিম) সাড়ে চার বছর ধরে জেলে আছেন। আসামি মোতালেব মিয়া প্রকাশ ওয়াসিম রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর এলাকার বাসিন্দা।

আরো পড়ুন: চট্টগ্রামে করোনার ৪ লাখ ৫৬ হাজার টিকা পৌঁছেছে

এই হত্যায় অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে আটক হন এহেতাশামুল হক ভোলা ও তার সহযোগী মো. মনির। তাঁদের কাছ থেকে পয়েন্ট ৩২ বোরের একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়, যা মিতু হত্যায় ব্যবহৃত হয়েছে বলে দাবি করেছিল পুলিশ।

মিতু হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছিলেন গ্রেপ্তার আনোয়ার ও মোতালেব। তাঁদের স্বীকারোক্তিতে মিতু হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে নাম আসে বাবুল আক্তারের সোর্স হিসেবে পরিচিত মো. মুছার।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরের ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এই মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে আবু নসুর গুন্নু, শাহ জামান ওরফে রবিন, সাইদুল আলম শিকদার ওরফে সাক্কু ও শাহজাহান, মো. আনোয়ার ও মোতালেব মিয়া প্রকাশ ওয়াসিম নামের কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ।

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss