spot_img

৩০শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, বুধবার
১৫ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

কারামুক্ত মিনুর সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু

হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি কুলসুমের পরিবর্তে জেলের ঘানি টানা মিনু কারামুক্তির পর এবার মুক্তি পেলেন জীবন থেকেও। গত ২৮ জুন ভোর রাত পৌনে ৪টার দিকে বায়েজিদ-ভাটিয়ারি লিংক রোডের মহানগর-সানমার গ্রিনপার্কের বিপরীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যান মিনু। ঘটনার ৫দিন পর গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশের দেখানো ছবি দেখে নিহত বোনকে শনাক্ত করেন মিনুর ভাই রুবেল।

এ বিষয়ে বায়েজিদ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক নুরনবী বলেন, আমি ওই রাতে টহলরত ছিলাম। থানা থেকে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত ওই নারীকে উদ্ধার করি। আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসা করি। লোকজন ওই মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন জানালেও কেউই তার নাম ঠিকানা বলতে পারেননি।

পরে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে আনজুমান-এ মুফিদুল ইসলামের তত্বাবধানে মিনুর মরদেহ দাফন করা হয়। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। ঘটনার পর থেকে অজ্ঞাত ওই নারীর সন্ধান করছিলেন বায়েজিদ থানা পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী উপ-পরিদর্শক মো. খোরশেদ আলম। ঘটনার ৫দিন পর শনিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি সীতাকু-ের জঙ্গল সলিমপুরের কাজী মশিউরের নজরে আনলে ছবি দেখে মিনুকে শনাক্ত করেন তিনি। ডেকে আনেন মিনুর ভাই রুবেলকে। তিনি পুলিশের দেখানো ছবিটি বোন মিনুর বলে শনাক্ত করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান।

প্রসঙ্গত: যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমীর পরিবর্তে দীর্ঘ ৩ বছর ধরে জেলের ঘানি টানছিলেন মিনু বেগম প্রকাশ মিনু পাগলী। বিষয়টি গণমাধ্যমে এলে আদালতের নজরে আনেন সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম খান। পরে গত ২২ মার্চ দুপুরে অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক শরীফুল আলম ভূঁয়ার আদালতে তাকে হাজির করে কারা কর্তৃপক্ষ। এরপর দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়াশেষে ১৬ জুন দুপুরে চট্টগ্রাম অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁয়ার আদালত মিনুকে মুক্তির আদেশ দেন। সূত্র: পূর্বকোণ

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss