চট্টগ্রামের আসাদগঞ্জ খালে পড়ে নিহত যুবকের পরিচয় মিলেছে। তিনি নগরের ২৫ নম্বর রামপুর ওয়ার্ডের এয়াকুব আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এলাকার কাজী মোহাম্মদ ইকবালের ছেলে আজিজুল হাকিম ইমন। তিনি সদরঘাট ইসলামিয়া কলেজের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
ফেসবুকের মাধ্যমে খবর পেয়ে সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন তার স্বজনরা। এর আগে বিকেল চারটার দিকে নগরের আসাদগঞ্জ কলাবাগিচা খাল থেকে আজিজুল হক ইমনকে উদ্ধার করেন স্থানীয় লোকজন। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আজিজুর হাকিমের ছোট ভাই রেজাউল হাকিম বলেন, ‘ফেসবুকে ভাইয়ের ছবি দেখে এলাকার লোকজন আমাদের খবর দেন। আমি নিজেও পরে ফেসবুকে দেখি। এরপর হাসপাতালের মর্গে এসে লাশ শনাক্ত করেছি। কিভাবে কি হলো কিছুই বুঝতেছি না।’
তিনি বলেন, ‘কিছুদিন ধরে বড় ভাই মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। নিজে নিজে কথা বলতেন। নানা অস্বাভাবিক আচরণ করতেন। এ জন্য চিকিৎসাও চলছে। সোমবার জোহর নামাজ পড়তে বাসা থেকে বের হন। এরপর তিনি আর ফেরেননি। বাসায় না ফেরায় খোঁজাখুজি করেছি। কিন্তু পাইনি। বাসা থেকে এতদূরে কিভাবে গেল বুঝতেছি না।’
খাল থেকে লাশ উদ্ধারের সময় ধারণ করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, চার যুবক খালে ডুব মেরে পানিতে ডুবে থাকা এক যুবককে তুলে টেনে খালের কিনারে নিয়ে যান। পাড়ে থাকা লোকজনের সহায়তায় ওই যুবককে খাল থেকে তুলে আনা হয়। তখনও যুবক বেঁচে ছিলেন বলে একজনকে বলতে শোনা গেলেও যুবক ছিল নিস্তেজ।
কোতোয়ালী থানা পুলিশের এসআই বাবুল পাল জানান, বিকেল পৌনে চারটার দিকে সিসিটিভি ফুটেজে ওই যুবককে আসাদগঞ্জ থেকে চামড়া গুদামের দিকে যেতে দেখা গেছে। এর কয়েক মিনিটের মধ্যে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে হৈ চৈ পড়ে যায়। কয়েকজনকে খালে লাফিয়ে পড়তে দেখা যায়। তখনই ওই যুবক খালে পড়ে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি জানান, কলাবাগিচা খাল ও চাক্তাইখালের সংযোগস্থলে একটি ব্রিজ রয়েছে। সেখানে পাশে সংকীর্ণ একটি জায়গায় লোকজন উন্মুক্তস্থানে প্রস্রাব করেন। বৃষ্টিতে খালের পাড় পিচ্ছিল ছিল। জায়গাটিও সংকীর্ণ। খালে স্রোত ছিল। ধারণা করা হচ্ছে ওই যুবক ওখানে প্রস্রাব করতে গিয়ে খালে পড়ে ডুবে গেছেন।
কোতোয়ালী থানার ওসি এস এম ওবায়দুল হক জানান, আসাদগঞ্জ শুটকিপট্টি পোলের গোড়া থেকে এক যুবককে উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে ওই যুবকের লাশ পায়।
চস/আজহার