চট্টগ্রাম দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র—এই অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়ন ছাড়া বাংলাদেশের টেকসই অগ্রগতি সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীরা। সোমবার নগরীর পাঁচলাইশ থানাস্থ কিং অফ চিটাগাং এ আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তারা এ মন্তব্য করেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম ব্যবসায়ী পরিষদের আহ্বায়ক শাজাহান মহিউদ্দিন। তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম দেশের বাণিজ্যের হৃদপিণ্ড। এখানে শিল্প, বন্দর, যোগাযোগ ও বিনিয়োগ খাতের উন্নয়ন দ্রুততর করতে পারলে জাতীয় অর্থনীতির চেহারা বদলে যাবে।”
প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের প্যানেল লিডার এস. এম. নুরুল হক। তিনি বলেন, “চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের ঐক্যই হতে পারে বাংলাদেশের অর্থনীতির পুনর্জাগরণের ভিত্তি। ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি, ভ্যাট-ট্যাক্স নীতিতে স্বচ্ছতা ও বন্দরনির্ভর উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করব।”
বিশেষ আলোচক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সমাজসেবক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এস. এম. ফজলুল হক বলেন, “চট্টগ্রামই দেশের রাজস্ব আয়ের মূল কেন্দ্র। অথচ এখানকার অবকাঠামো ও উন্নয়ন প্রকল্পে যথাযথ বিনিয়োগ নেই। বন্দর, শিল্পাঞ্চল ও রপ্তানি কার্যক্রমে যে আয় হয়, তার একটি অংশ চট্টগ্রামের উন্নয়নে সরাসরি বরাদ্দ দেওয়া উচিত।”
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, সি এন্ড এফ এসোসিয়েশন, টায়ার টিউব ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন, খাতুনগন্জ ব্যাবসায়ী সমিতি, টেরিবাজার ব্যাবসায়ী সমিতি, তামাকুন্ডিলেইন ব্যাবসায়ী সমিতি, বৃহত্তর চকবাজার ব্যাবসায়ী সমিতি, ফলমন্ডি ব্যাবসায়ী সমিতি, জুবিলী রোড ব্যাবসায়ী সমিতি, রিয়াজুদ্দিন বাজার ব্যাবসায়ী সমিতি, জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি সহ বিভিন্ন ব্যাবসায়ী সমিতির নেতারা
বক্তারা বলেন, চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা শুধু স্থানীয় অর্থনীতির চালিকা শক্তি নন, তাঁরা জাতীয় উন্নয়নেরও গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। বন্দর, শিল্প, শিক্ষা, পর্যটন ও যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নে ব্যবসায়ী সমাজের সক্রিয় ভূমিকা এখন সময়ের দাবি।
সভায় চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে কেন্দ্র করে একটি ঐক্যবদ্ধ ব্যবসায়ী প্ল্যাটফর্ম গঠনের আহ্বান জানানো হয়, যা ব্যবসায়ীদের স্বার্থরক্ষা এবং দেশের সার্বিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখবে।


