চট্টগ্রামে একাধিক আলোচিত গুলিবর্ষণের ঘটনা এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে ছয় সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
এর মধ্যে বাবলা হত্যার মূল সন্দেহভাজন ইশতিয়াক চৌধুরী ওরফে অভি, মোঃ আলাউদ্দিন, মোঃ হেলাল (৪০),। মোঃ আরমান আলী রাজ (২৭),মোঃ জনি (৩৮) ও মাহমুদুল হক জ্যাকি (৩৫) রয়েছে।
শুক্রবার সকালে সংস্থাটি এই তথ্য নিশ্চিত করে। রাতে পরিচালিত এক অভিযানে র্যাব-৭ চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে।
সাম্প্রতিক সময়ে রাউজান উপজেলায় সন্ত্রাস সৃষ্টি এবং একাধিক গুলি চালানোর ঘটনায় তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে বলে র্যাব-৭ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোজাফ্ফর হোসেন তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সহিংসতার সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তারা সরোয়ার হোসেন বাবলা হত্যা, এরশাদ উল্লাহর ওপর হামলা, মোহাম্মদ ইদ্রিসের গুলিবিদ্ধ হওয়া এবং রাউজানে চলমান সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
তিনি আরও বলেন, গত ০৫ নভেম্বর মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন এলাকায় চট্টগ্রাম–৮ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ এর জনসংযোগ চলাকালীন সময় পূর্ববিরোধের জেরে একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী জনসংযোগের ভিতরে প্রবেশ করে সরওয়ার হোসেন বাবলার বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় চট্টগ্রাম–৮ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহসহ ৩ জন গুলিবিদ্ধ। গত ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের চালিতাতলী এলাকায় মাদক কারবারে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিবন্ধী অটোচালক ইদ্রিস নামের একজন ব্যক্তিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। একই দিন মধ্য রাতে চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানাধীন কোয়েপাড়া এলাকায় প্রকাশ্যে গুলাগুলি ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ সুমন, ইউনিয়ন কৃষক দলের সহসভাপতি মোঃ ইসমাইল, শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক খোরশেদ আলম চৌধুরী, যুবদলের সহসভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও বিএনপি কর্মী মোহাম্মদ সোহেল গুলিবৃদ্ধ হয়।
চস/আজহার


