ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের এবারের আসরের লড়াইটা যতটা না দলগত, তার থেকে ঢের বেশি ব্যক্তিগত হয়ে উঠেছে। জাতীয় দলের তরুণ ক্রিকেটারদের অনেকেই ব্যাট-বলে সফলতার দেখা পাচ্ছেন না। ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ সৌম্য সরকার, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতদের নিজেকে মেলে ধরার মঞ্চ ডিপিএল। আজ (মঙ্গলবার) মুখোমুখি দেখায় সৌম্য-সৈকত দুজনেই রানের দেখা পেয়েছেন। তবে জয়ী দলে উঠেছে সৈকতের নাম।
মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় শিরোপা প্রত্যাশী দুই দল আবাহনী লিমিটেড ও গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। এ ম্যাচে আগে ব্যাট করে আবাহনীর সামনে ১৫১ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় গাজী। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন সৌম্য। তার জাতীয় দলের সতীর্থ শেখ মেহেদী হাসানের ব্যট থেকে আসে ৪৩ রান।
লক্ষ্য টপকাতে নেমে ৭ উইকেটে জয় পায় আবাহনী। তবে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি তাদের। দলীয় ২২ রানে ওপেনার নাঈম শেখ আউট হন ১০ রান করে। নাজমুল হোসেন শান্ত ৫ ও মুনিম শাহরিয়ার ২৮ রান করে আউট হলে বিপাকে পড়ে আবাহনী। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন জাতীয় দলের দুই ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। চতুর্থ উইকেটে দুজন অবিচ্ছেদ্য জুটিতে যোগ করেন ১০৫ রান। এতে ৭ উইকেটের জয় পায় আবাহনী।
১২ বল হাতে রেখে পাওয়া জয়ে অর্ধশতক তুলে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক মুশফিক ও মোসাদ্দেক। ৩৫ বলে ৪টি চার ও একটি ছয়ের মারে ৫৩ রান করেন মুশফিক। ২৮ বলে সমান পঞ্চাশ রানের ইনিংস খেলেন মোসাদ্দেক। এই জয়ের ফলে ৫ ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে আবাহনী।
এর আগে মিরপুরে সাবলীল ব্যাটিংয়ে চার-ছক্কার ঝড় তোলেন সৌম্য। ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে ৫০ বলের ইনিংসটি সাজান ৬টি চার ও ২টি ছয়ের মারে। সৌম্য সরকারের সঙ্গে তার জাতীয় দলের সতীর্থ শেখ মেহেদী হাসানের ৩২ বলে ৪৩ ও মুমিনুল হকের ১২ রানের ইনিংসের ওপর ভরে করে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে স্কোর বোর্ডে ১৫০ রানের সংগ্রহ পায় অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।
যদিও খোদ অধিনায়কই ব্যাট হাতে ছিলেন নিষ্প্রাণ, ৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ইয়াসির আলী রাব্বিও ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি। ফিরেছেন ৯ রান। আবাহনীর হয়ে আমিনুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম সমান ২টি করে উইকেট নেন।
চস/আজহার