বাংলাদেশের প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত ওপেনাররা ভুল প্রমাণ করলেও লিটন কুমার দাসের ব্যাটে লড়াকু সংগ্রহ পায় টাইগাররা। এই ডানহাতি ব্যাটারের ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটিতে ইনিংস শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৫৫ রান। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জয়ের জন্য আফগানদের লক্ষ্য ১৫৬ রান।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত শুরুতে কার্যকর হয়নি। অভিষিক্ত মুনিম শাহরিয়ার প্রথম ওভারে দারুণ এক চারে ইনিংসের সূচনা করেন। অপর প্রান্তে নাঈম শেখ নিজের সরূপে ছিলেন না কখনো। ম্যাচের তৃতীয় ওভারে ফজল ফারুকির বলে লেগ বি ফরের ফাঁদে পড়েন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ৫ বলে ২ রান করে বিদায় নেন নাঈম। পাওয়ার প্লেতে আরো একবার আঘাত হানে আফগান বোলাররা। অভিষিক্ত মুনিম নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম মেচটি রঙিন করতে পারেনি।
রশিদ খানে বলে লেগ বি ফোরের ফাঁদে পড়েন এই ডানহাতি ব্যাটার। অভিষিক্ত ম্যাচে নামের পাশে কেবল ১৭ রান যুক্ত করতে পেরেছেন। দ্বিতীয় উইকেটের পতনের পর মাঠে নামেন দেশ সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
কিন্তু আফগান স্পিনার কায়েস আহমেদের বলে সুইপ করতে গিয়ে শর্ট থার্ড ম্যানে ক্যাচ দিয়ে বসেন সাকিব। মাত্র ৬ বলই মাঠে টিকেছিলেন সাকিব। ৪৭ রানেই বাংলাদেশের তিন টপ অর্ডার ব্যাটার ফিরে যায়। চতুর্থ উইকেট পার্টনারশিপে লিটন দাস ও রিয়াদের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ।
এই দুই ডানহাতি ব্যাটার ৩৩ রানের জুটি বাঁধেন। মাহমুদুল্লাআহ রিয়াদ অভিষিক্ত ওমরজাইয়ের ফুলটস বল মিস করে যান এবং লেগ বি ফরের ফাঁদে পড়েন। এক প্রান্তে লিটন কুমার দাস ছিলেন দাঁড়িয়েছিলেন দলের এক মাত্র ভরসা হয়ে।
ওয়ানডের শতকের ছোঁয়া যেন টি-টোয়েন্টিতেও লেগেছিল লিটনের ব্যাটে। শেরে বাংলায় নিজের নামের প্রতি সুবিচার করে ৩৪ বলে নিজের অর্ধশত পূরণ করেন লিটন।
১৪ তম ওভারে দলীয় স্কোর শতরানে পৌঁছে যায়। আফিফ হোসেন ও লিটনের ব্যাটে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশ। আফগানদের সেরা অস্ত্র রশিদ খান ১৬তম ওভারে নিজের শেষ ওভার করতে এসে আফিফ , লিটনকে কিছুটা বিব্রত করলেও ক্রিজে টিকে ছিলেন এই জুটি।
শেষদিকে রান তুলতে টাইগার ব্যাটারদের পথে বাধা হয়েছেন আফগান পেসাররা। ১৭ তম ওভারে ফারুকির বলে ৬০ রান করে ক্যাচ আউট হন লিটন দাস। লিটন ফিরে যাওয়াতেই যেন খেয় হারিয়ে ফেলে আফিফ হোসেন ১৮ তম ওভারে অভিষিক্ত ওমরজাইয়ের বলে ব্যক্তিগত ২৫ রানের ফিরে যান আফিফ।
১৮ তম ওভার শেষে দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৩১ রান। শেষ দিকে ইয়াসির রাব্বি ও শেখ মাহেদির ব্যাটে তেমন রান আসে নি। ইনিংস শেষে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৫ রানের পুঁজি পায় টাইগাররা।
চস/আজহার