ভারতের বিরুদ্ধে অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরি তুলে নিল জাকির হাসান। প্রথম টেস্টে ৫১৩ রানের কঠিন লক্ষ্যে খেলতে নেমে জাকির হাসান ও নাজমুল হোসেনের ওপেনিং জুটি ভালো মতোই লড়ে যাচ্ছিল। আগের দিনের সঙ্গে আজকের দিন মিলিয়ে দুই ওপেনার পাক্কা ১৮০ মিনিট ব্যাটিং করেছেন।
কিন্তু চতুর্থ দিনে দ্বিতীয় সেশনে ফিরতেই ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের প্রতিরোধ। শান্ত ও লিটন দুইজনেই বাজে শটে আউট হয়েছেন। ডিফেন্স করতে গিয়ে ইয়াসির নিজেও যেভাবে আউট হয়েছেন; তাতে নিজের দায় এড়াতে পারবেন না কোনওভাবেই। সবমিলিয়ে দ্বিতীয় সেশনটি অস্বস্তি নিয়েই স্বাগতিকরা পার করেছে। তবে একপ্রান্ত আগলে নিজের লড়াইটা ঠিকই চালিয়ে গেছেন অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা জাকির হাসান।
চতুর্থ বাংলাদেশি হিসেবে অভিষেক টেস্টেই সেঞ্চুরির নজিরও দেখালেন তিনি। গতকাল ১৭ রানে অপরাজিত থেকে দিন পার করার পর আজ শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) ৮৩ রান যোগ করে প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
জাকির ছাড়াও এর আগে অভিষেকে বাংলাদেশ দলের হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন আরো তিন ক্রিকেটার। সর্বপ্রথম আমিনুল ইসলাম বুলবুল এই কীর্তি গড়েন। তার এই সেঞ্চুরি তার নিজের অভিষেক তো বটেই, বাংলাদেশেরই ছিল প্রথম টেস্ট।
এরপর মোহাম্মদ আশরাফুল করেন এই রেকর্ড। ২০০১ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই নজির গড়েন তিনি। সবশেষ ২০১২ এই ক্লাবে যুক্ত হন পেসার আবুল হাসান রাজু। এবার চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে এই কৃতিত্ব দেখালেন জাকির। এছাড়া ওপেনার হিসেবে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটাও নিজের করে নিয়েছেন তিনি। ২১৯ বলে ১৩ চার ও ১ ছয়ে সেঞ্চুরি উদযাপন করেন জাকির।
তবে সেঞ্চুরির পরই তিনি ফিরে গেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনের শিকার হয়ে। ফেরার আগে তিনি করেছেন ঠিক ১০০ রান। তার বিদায়ে বাংলাদেশও খানিকটা বিপাকে পড়ে গেছে বৈকি! এরপর ব্যক্তিগত ২৩ রানের মাথায় আক্সার পেটেলের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন মুশফিকুর রহিমও। মুশফিকুরের পর নেমে ৩ রানের মাথায় ফের আক্সার পেটেলের বলে স্টাম্পিং হলেন নুরুল হাসান।
চট্টগ্রাম টেস্টে চতুর্থ দিন শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭২ রান। ৪০ রান নিয়ে সাকিব আল হাসান এবং ৯ রানে অপরাজিত থেকে দিনের খেলা শেষ করেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। জয়ের জন্য বাংলাদেশের আরো ২৪১ রানের প্রয়োজন। হাতে আছে ৪ উইকেট।
চস/স


