প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে হলে অনেক স্বাধীনতা দিতে হবে এবং কিছু প্রস্তাব মানতে হবে। সামনে আমাদের একটা যুদ্ধের মাঠে নামতে হবে। ডিসেম্বরকে টার্গেট করে আমরা ইতিমধ্যে নির্বাচনের কাজ শুরু করেছি। এ জন্য অক্টোবরের মধ্যেই মাঠ পর্যায়ের সব কাজ শেষ করার চেষ্টা করব।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন কার্যালয় রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) আয়োজিত মত বিনিময়সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, পার্লামেন্টের স্থায়ী কমিটির হাতে নির্বাচন কমিশনের কোনো কাজ গেলে ইসির স্বাধীনতা খর্ব হবে। স্থায়ী কমিটির কাছে নির্ভরশীল হতে চাই না। এ সংক্রান্ত সুপারিশ বাতিল করতে হবে। পার্লামেন্টারি স্টান্ডিং কমিটির মুখাপেক্ষী হলে ইসির ক্ষমতা খর্ব করা হবে। ভোটার হালনাগাদ এবং সীমানা নির্ধারণের জন্য ইসির বাইরে অন্য কারও হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনকে কুইক ফেস করা যায় না। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে এখনই কোনো ধরনের পরিবেশ তৈরি হয়নি। রুলস অফ গেমস কিভাবে হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। নির্বাচন কমিশন সংস্কার প্রস্তাব এখনো পূর্ণাঙ্গভাবে পাইনি। সীমানা পুনঃনির্ধারণ নিয়ে কোনো ফয়সালা হয়নি। রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন ঠিক করতে হবে। সুতরাং অনেক কিছুই আইনের কারণে আটকে আছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন , নির্বাচন কমিশন সব সময় স্বাধীন। আমাদের চেয়ে বেশি কেউ স্বাধীন নয়। তারপরেও একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে কিছু আইন সংশোধন করতে হবে।
এ এম নাসির উদ্দিন বলেন, অতীতে মে জুন মাসে, অর্থাৎ বর্ষাকালে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, এমনটা আমি দেখি নাই। নির্বাচন কমিশনকে অন্তত দুই মাস আগে জানাতে হবে। প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী, ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন করতে হলে অক্টোবরেই সিডিউল ঘোষণা করতে হবে। আমি চাচ্ছি সব আইনগত প্রক্রিয়া শেষ করে নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণা করতে। সেজন্য অন্তত কিছুদিন সময়ের প্রয়োজন।
তিনি বলেন, নির্বাচন-সংক্রান্ত সংস্কার কমিশন থেকে অনেক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এগুলো সব বাস্তবায়ন করতে হলে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব ক্ষমতা খর্ব হবে। জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অনেক হানাহানি ও বিশৃঙ্খলা হয়। শতভাগ মানুষ সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। জনগণ সচেতন হলে সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে হানাহানি বিশৃঙ্খলা ও কাজ চুপে প্রতিরোধ করা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী, আমরা ডিসেম্বরকে টার্গেট করে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছি। এ জন্য অক্টোবরের মধ্যেই মাঠ পর্যায়ের সব কাজ শেষ করার চেষ্টা করব। আশা করি, এটা শেষ হয়ে যাবে। নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে হলে অনেক স্বাধীনতা দিতে হবে এবং কিছু প্রস্তাব মানতে হবে।
চস/স