জাতীয় নাগরিক পঞ্জি এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছে গোটা ভারত জুড়ে। অশান্তি ঠেকাতে জিরো টলারেন্স নীতির কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। গুজব, অশান্তি রুখতে রাজ্যের ছয় জেলায় সাময়িক ভাবে ইন্টারনেট বন্ধেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
কিন্তু রবিবার দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধে অশান্ত হয়ে ওঠে পরিবেশ। পুলিশ জোর করে ক্যাম্পসে ঢুকলে আগুনে ঘি পড়ে। চলে একতরফা মার। কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়। পুলিশের লাঠিপেটায় তিন ছাত্র প্রাণ হারায়। এর পরই আন্দোলনে নামেন পড়ুয়ারা।
মুম্বাই আইআইটি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, জেএনইউ, আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়, পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ে রবিবার রাত থেকেই শুরু হয় মশাল মিছিল। পোড়ানো হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কুশপুতুল। এমন অস্থির সময়ে শিল্পীরা চুপ করে থাকবেন তা হয় না। গোটা টলিউড রীতিমতো স্তম্ভিত।
গোটা ঘটনায় জামিয়া মিলিয়ার পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়েছেন গায়ক ও সুরকার অনুপম রায়। ছাত্র হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে টুইট করেছেন পরিচালক সৃজিত মুখার্জি। এমন নৃশংস অত্যাচারে তিনি ক্ষুব্ধ। টুইটারে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কঙ্কনা সেন শর্মা। আন্দোলন হোক। কিন্তু সরকারি সম্পত্তির কোনো রকম ক্ষতি না করার আর্জি জানিয়েছেন অভিনেতা ও সাংসদ দেব।
আরেক অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় তার টুইটারে লিখেছেন, ‘আমরা বোধহয় হীরক রাজার দেশে বাস করছি।’ বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদের আঁচ যে ক্রমশ বেড়ে চলেছে, তা টলিউডের এই স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণই বুঝিয়ে দিচ্ছে।
চস/আজহার