স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে সড়কপথের পরে এবার খুলল রেল চলাচলের পথ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে এবার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের স্বপ্ন পূরণ হলো।
বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গতিতে ঘণ্টায় প্রায় ১২০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন ছুটবে ৮২ কিলোমিটারের এ পথে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ১১টায় মাওয়া রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছান। এরপর প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য শেষে সকাল ১২টা ২৩ মিনিটে মাওয়া রেলওয়ে স্টেশন প্রান্ত থেকে বহুল কাঙ্ক্ষিত এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনের পরে মাওয়া প্রান্ত থেকে ট্রেনে চড়ে ভাঙ্গা স্টেশনে যাবেন। সেখানে থেকে ভাঙ্গায় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দেবেন তিনি।
রেলের সর্ববৃহৎ এ প্রকল্পের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রত্যেকটি স্টেশনকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী উদ্বোধনী ট্রেনটিও সাজানো হয়েছে রং-বেরঙের ফেস্টুন ও ফুলে।
রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাওয়া স্টেশন থেকে ট্রেনে চড়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত যাবেন।
২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি শুরু হওয়া এ প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা।
ঢাকা-ভাঙ্গা অংশ আগামীকাল মঙ্গলবার উদ্বোধন হলেও যশোর পর্যন্ত সম্পূর্ণ পথ চালু হবে ২০২৪ সালের ৩০ জুনে।
এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর পরীক্ষামূলক ট্রেন পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেন চালানো হয়। পরের দিন চালানো হয় মালবাহী ট্রেন। এরই মধ্যে ১২০ কিলোমিটার গতিতেও এ রুটে ট্রেন চালানো হয়েছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি।
প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পে পরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে এখন শুধু ঢাকা-ভাঙ্গা পর্যন্ত উদ্বোধন করা হবে।
ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা অংশের কাজের অগ্রগতি ৯৭ শতাংশ জানিয়ে প্রকল্প পরিচালক বলেন, এখনও শুধু কিছু স্টেশন ও সিগন্যালিংয়ের কাজ বাকি আছে।
অন্যদিকে যশোর পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৮৩ শতাংশ। আগামী বছরের জুনে যশোর পর্যন্ত পুরো রেলপথ খুলে দেওয়া হবে।
চস/স