মাদরাসার শিক্ষকদের সহযোগিতায় শুনে শুনে ৪ বছরে ২৮ পারা কোরআন মুখস্থ করেছে হৃদয়। জন্মের তিন দিন পর ছোট্ট একটি দুর্ঘনায় চোখের দৃষ্টি হারায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গোবিন্দ নগর মুন্সির হাট গ্রামের দিনমজুর মানিক হোসেন ও পুতুল বেগমের বড় ছেলে মোহাম্মদ হৃদয়।
পরিবারের দুঃখ মোচন ও নিজের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিজ এলাকার হাজী দানেশ দারুল উলুম ইমদাদিয়া মাদরাসায় ৮ বছর বয়সে ভর্তি হয় হৃদয়। বাকি ২ পারা শিগগিরই শেষ করে হাফেজ হবে এমন প্রত্যাশা হৃদয়ের।
২৮ পাড়া কোরআন মুখস্থ করতে পেরে অনেক আনন্দিত হৃদয়। হৃদয় বলেন, কোরআন মুখস্থ করার জন্য আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলাম, সেটাতেও সফল হতে পেরেছি ।
হৃদয়ের বাহ্যিক দৃষ্টি নেই। কিন্তু অন্তরদৃষ্টি তার প্রখর। নিজ এলাকার প্রত্যেকটি রাস্তা তার চেনা। কারো সাহায্য ছাড়াই বাসা থেকে মসজিদ ও মাদরাসায় যাতায়াত করে সে।
ঐ গ্রামের মকলেস বলেন, ছেলেটি অত্যন্ত মেধাবী। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে পড়ে। আমরা অনেকে সুস্থ সবল মানুষ কিন্তু কোরআন পড়তে পাড়ি না অথচ সে ২৮ পাড়া কোরআন মুখস্থ করেছে এটা অতুলনীয় প্রশংসার দাবি রাখে।
হৃদয় ও তাঁর পরিবার জানায় চিকিৎসক বলেছে উন্নত চিকিৎসা নিলে সে দেখতে পারবে। হৃদয়ের পরিবার তাই সমাজের বিত্তবান মানুষের সহযোগিতা কামনা করছে।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান জানান, তার চিকিৎসার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অর্থিক সহযোগিতা করা হবে।
চস/এস


