আজ (২২ মে) ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ইরানের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্যান্যদের জানাজায় সভাপতিত্ব করেছেন। তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত জানাজার নেতৃত্ব দেন তিনি।
খবরে বলা হয়েছে, নিহতদের কফিনে ইরানের পতাকায় মোড়ানো ছিল।
ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ কুরআনের ভাষা আরবিতে নিহতদের জন্য প্রার্থনা করা প্রার্থনায় খামেনি বলেন, ‘হে আল্লাহ, আমরা তার ভালো কাজ ছাড়া আর কিছুই দেখিনি।’
এরপর লোকজন কফিনগুলো কাঁধে করে ‘আমেরিকা নিপাত যাক’! স্লোগান দিতে থাকেন। তারা একটি সেমিট্রাক ট্রেলারে মরদেহগুলো লোড করে তেহরানের কেন্দ্রস্থল হয়ে ‘ফ্রিডম স্কয়ারে নিয়ে যান। রাইসি অতীতে সেখানে বক্তৃতা দিয়েছিলেন।
সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাইসিকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ইরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর মাশহাদে দাফন করা হবে।
গত রবিবার আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে যান প্রেসিডেন্ট রাইসি। সেখানে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভও ছিলেন। সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের একটি বহর নিয়ে তাবরিজে ফিরছিলেন রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদোল্লাহিয়ানসহ অন্য কর্মকর্তারা।
পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ে প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী বেল-২১২ মডেলের হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। হেলিকপ্টারটি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায়।
দুর্ঘটনার প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর গত সোমবার ইরানের আধা সরকারি বার্তা সংস্থা মেহর নিউজের খবরে বলা হয়, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদোল্লাহিয়ানসহ অন্য ব্যক্তিরা নিহত হয়েছেন।
চস/স