spot_img

২৮শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, সোমবার
১৩ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সর্বশেষ

গুলশানে চাঁদাবাজির টাকা ভাগ-বাটোয়ারার বিবরণ দিলেন রিয়াদ

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বহিষ্কৃত আহ্বায়ক সদস্য আবদুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ স্বীকার করেছেন, তিনি সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফরের কাছ থেকে দশ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছেন।

রোববার (৩ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাত উল্লাহর খাস কামরায় দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তিনি এ কথা বলেন।

গত ২৭ জুলাই চাঁদাবাজির মামলায় রিয়াদকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে তিনি স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, জবানবন্দিতে রিয়াদ জানিয়েছেন, তিনি এবং তার সহযোগীরা প্রথমে ১০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেন। এর মধ্যে পাঁচ লাখ টাকা নিজে রাখেন এবং বাকি পাঁচ লাখ টাকা অন্যদের মধ্যে ভাগ করে দেন।

নিজের অংশের টাকা তিনি বাড্ডার বৈঠাখালির একটি সাততলা ভবনের কক্ষে রাখেন। সেখান থেকে কিছু টাকা খরচ করার পরও তার ওয়ার্ডরোব থেকে পুলিশ ২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা উদ্ধার করে। তিনি স্বীকার করেন, উদ্ধার হওয়া এই সম্পূর্ণ অর্থই শাম্মী আহমেদের বাসা থেকে নেওয়া চাঁদার টাকা।

জবানবন্দিতে রিয়াদ আরও জানান, তারা সিদ্দিক আবু জাফরকে আওয়ামী লীগ ট্যাগ দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা আদায়ের চেষ্টা করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত তিনি ১০ লাখ টাকা দেন।

রিয়াদ স্বীকার করেন, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপু, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইব্রাহীম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব—এরা সবাই এই ঘটনায় জড়িত। ২৬ জুলাই তারা বাদীর কাছ থেকে আরও ৪০ লাখ টাকা নিতে গুলশানের বাসায় গেলে পুলিশ পাঁচজনকে সেখানেই আটক করে।

রিয়াদ জানিয়েছেন, এই পাঁচজন ছাড়াও আরও দুই-তিনজন চাঁদাবাজিতে জড়িত ছিলেন। তিনি ও জানে আলম অপুই চাঁদাবাজির নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং গুলশানের আরও কয়েকজনের কাছ থেকেও চাঁদা আদায় করেছেন বলে স্বীকার করেন।

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss