spot_img

২৬শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, শনিবার
১১ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ডেস্ক রিপোর্ট

সর্বশেষ

আজ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক কার্যকর

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর আরোপিত নতুন রপ্তানি শুল্ক ২০ শতাংশ আজ (৭ আগস্ট) থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে। হোয়াইট হাউসের জারি করা নির্বাহী আদেশ আজ ১২টা ১ মিনিট থেকে কার্যকর হবে।

এতে বৈশ্বিক বাণিজ্যের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে খাপ খাইয়ে নিতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পের জন্য নতুন কিছু সুযোগ তৈরি হতে পারে।

তবে এ শুল্কহার নিয়ে এখনো দরকষাকষির সময় আছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য দপ্তর ইউএসটিআরের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদল দফায় দফায় বৈঠক করে এ শুল্কহার ৩৫ থেকে ২০ শতাংশে নামিয়ে এনেছে।

নতুন আদেশ অনুযায়ী, শুল্কহার ১০ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৪১ শতাংশ পর্যন্ত হবে। এর আগে ২ এপ্রিল বাণিজ্য ঘাটতির কথা উল্লেখ করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর উচ্চহারে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তখন বাংলাদেশের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। পরে ৯ এপ্রিল বিভিন্ন দেশের ওপর ওই শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। এ সময় শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিভিন্ন দেশকে আলোচনার সুযোগ দেয় ওয়াশিংটন। উভয় দেশের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তা ২০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, দরকষাকষির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণা দেওয়া পাল্টা শুল্ক ৩৫ থেকে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। তবে এ শুল্ক নিয়ে এখনো চুক্তি সই হয়নি। চুক্তি সই হওয়ার আগে শুল্ক নিয়ে আরও দরকষাকষির সুযোগ রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র যে শুল্ক নির্ধারণ করেছে সেটা স্বস্তিদায়ক কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আর একটু কমলে ভালো হতো। তারা যেটা করেছে মোটামুটি, তবে স্বস্তির জায়গা বলব না। আমরা তো চাই এটা (পাল্টা শুল্ক) না হলে ভালো হতো।

এমনিতেই বিশ্ব অনেক চ্যালেঞ্জে। আর যদি অন্য দেশের সঙ্গে তুলনা করা হয় তবে বাংলাদেশ খুব খারাপ পজিশনে নেই। আমাদের সুযোগ হলো আরএমজি অনেক ভালো। আমাদের টেক্সটাইল, আমাদের নিট যেটা সেটা কিন্তু তারা অনেক তাড়াতাড়ি অ্যাডজাস্ট করতে পারবে। ওয়েভিং একটু ডিফিকাল্ট হতে পারে। ’

আপনারা কি আবার দরকষাকষিতে যাবেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ। বাণিজ্য উপদেষ্টা এখনো আসেননি। আমি ইউএস চেম্বারের ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁদের বাংলাদেশের বিষয়ে মনোভাব খুবই ভালো।

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss