spot_img

২৫শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার
১০ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সর্বশেষ

ডাকসুর জয় ‌ঢাবির সকলের সম্মিলিত বিজয়: সাদিক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে নির্বাচিত হয়েছেন ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী সাদিক কায়েম। তিনি নিজের এই বিজয়কে কোনো ব্যক্তিগত জয় নয়, বরং ‘জুলাই প্রজন্ম’ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর সম্মিলিত বিজয়’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সাদিক কায়েম এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচনে জয় বা পরাজয় বলে কিছু নেই। এ নির্বাচনের মাধ্যমে বিজয়ী হয়েছে জুলাই প্রজন্ম, বিজয়ী হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী। একই সঙ্গে বিজয়ী হয়েছে জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা এবং শহীদদের স্বপ্ন। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই সাদিক কায়েম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন বিভিন্ন সময়ে গণতন্ত্র ও মুক্তির সংগ্রামে প্রাণ দেওয়া শহীদদের।

তিনি বলেন, আমরা স্মরণ করছি জুলাই বিপ্লবের সব শহীদকে, যাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা আজ বাংলাদেশ পেয়েছি এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশে দাঁড়িয়ে নির্বাচন করছি। একইসঙ্গে আমরা স্মরণ করছি মুক্তিযুদ্ধের শহীদ, নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের শহীদ, আধিপত্যবাদ ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রামের শহীদদের। বিশেষভাবে স্মরণ করছি শহীদ আবরারকে, যিনি ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা যেন তাদের সবাইকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন।

ভিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন প্রসঙ্গে সাদিক বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সাদিক কায়েম, এসএম ফরহাদ, মহিউদ্দিন খানসহ আমাদের প্যানেলের ওপর যে আমানত রেখেছে, আমরা সেই আমানতের যথাযথ হক আদায় করব, ইনশাআল্লাহ। স্বপ্নের যে ক্যাম্পাসের প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, তা বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামব না।

তিনি বলেন, আমি ডাকসুর ভিপি পরিচয়ে পরিচিত হতে চাই না। আমি চাই শিক্ষার্থীরা আমাকে ভাই, বন্ধু কিংবা ছাত্র হিসেবে দেখুক। আমার ব্যক্তিত্ব, চরিত্র বা আচরণে কোনো পরিবর্তন আসবে না। ক্যাম্পাসে বা ক্যাম্পাসের বাইরে, শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত কিংবা পারিবারিক যেকোনো সমস্যায় আমি পাশে থাকব, ইনশাআল্লাহ।

তিনি আরও বলেন, আমরা চাই এই বিশ্ববিদ্যালয় হোক একটি পূর্ণাঙ্গ অ্যাকাডেমিক ইনস্টিটিউট। এখানে প্রথম বর্ষ থেকে শেষ বর্ষ পর্যন্ত প্রতিটি শিক্ষার্থী একটি উন্নত অ্যাকাডেমিক পরিবেশে পড়াশোনার সুযোগ পাবে। গবেষণার সুযোগ থাকবে, আবাসনের নিশ্চয়তা থাকবে, খাদ্য ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা থাকবে। নারী শিক্ষার্থীদের জন্য থাকবে একটি নিরাপদ ক্যাম্পাস। ধর্ম, মত, পথ নির্বিশেষে সবাই মিলে আমরা একটি মাল্টিকালচারাল পরিবেশ গড়ে তুলব।

নারী শিক্ষার্থীদের অবদান প্রসঙ্গে সাদিক কায়েম বলেন, ডাকসু নির্বাচনের আয়োজন সফল করার ক্ষেত্রে নারী শিক্ষার্থীদের ভূমিকা ছিল অগ্রণী। জুলাই বিপ্লবেও আমাদের বোনেরা সাহস জুগিয়েছেন। তাদের সেই আত্মত্যাগ ও অংশগ্রহণ আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা।

সংবাদ সম্মেলনের শেষে তিনি দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করে বলেন, এই বিজয় কোনো আনন্দ নয়, বরং একটি পরীক্ষা। আমরা সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে চাই। শিক্ষার্থীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায়, নিরাপদ ও আধুনিক ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতা চাই।

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss