spot_img

১০ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, রবিবার
২৬শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সর্বশেষ

আজ শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ১৫২তম জন্মবার্ষিকী

অবিভক্ত বাংলার প্রথম প্রধানমন্ত্রী, প্রখ্যাত বাঙালি রাজনীতিবিদ, আইনজীবী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের আজ ১৫২তম জন্মবার্ষিকী। ১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর বরিশাল জেলার (বর্তমান ঝালকাঠি) সাতুরিয়া গ্রামে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তাঁর পূর্ণ নাম আবুল কাসেম ফজলুল হক।

বাংলা ও উপমহাদেশের রাজনীতিতে একে ফজলুল হক ছিলেন এক অনন্য ব্যক্তিত্ব। ১৯৪০ সালে সর্বভারতীয় মুসলিম লীগ অধিবেশনে তিনি ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব (পরবর্তীতে যা ‘পাকিস্তান প্রস্তাব’ নামে পরিচিত) পেশ করে ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে তাঁর ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য।

রাজনৈতিক জীবনে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক বহু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৩৫ সালে কলকাতার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ১৯৩৭ থেকে ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী এবং ১৯৫৪ সালে পূর্ববঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৩৬ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন কৃষক প্রজা পার্টি, দরিদ্র কৃষক ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নেন। তাদের ঋণমুক্তির জন্য গঠন করেন সালিশি বোর্ড, যা সে সময়ের গ্রামীণ অর্থনীতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।

১৯৩৭ সালে লক্ষৌতে নিখিল ভারত মুসলিম লীগের সম্মেলনে তিনি উর্দু ভাষায় এক প্রাঞ্জল ভাষণ দেন, যা শ্রোতাদের মুগ্ধ করে। সেই বক্তৃতার পর থেকেই তাঁকে ভালোবেসে উপাধি দেওয়া হয়- ‘শেরে বাংলা’ (বাংলার বাঘ)।

রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব ও সামাজিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৫৮ সালে পাকিস্তান সরকার তাঁকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘হিলাল-ই-পাকিস্তান’ পদকে ভূষিত করে।

শেরে বাংলার স্মৃতি ধরে রাখতে তাঁর পৈতৃক বাড়ি বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার চাখারে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ‘শেরে বাংলা জাদুঘর’। এছাড়াও দেশে-বিদেশে তাঁর নামে শত শত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সড়ক, ভবন ও স্থাপনা আজও তাঁর অবদান স্মরণ করিয়ে দেয়।

১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল এই মহান নেতা পরলোকগমন করেন। তবু তাঁর কর্ম, দর্শন ও মানবপ্রেম এখনো বাঙালি জাতির প্রেরণার উৎস হয়ে আছে।

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss