spot_img

২০শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, বুধবার
৫ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

অনলাইন ডেস্ক

সর্বশেষ

পাইলটের উড্ডয়নে ত্রুটির কারণে মাইলস্টোনে বিধ্বস্ত হয় বিমান

পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির কারণে মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার কাছে মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

প্রেস সচিব বলেন, গত ২১ জুলাই মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে একটি এয়ার ফোর্সের ট্রেনিং এয়ারক্রাফট বিধ্বস্ত হয়। এতে ৩৬ জন মারা যান। ওই দুর্ঘটনার উপর ২৯ জুলাই একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল। আজকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। জমা দিয়েছেন ইনভেস্টিগেটিভ কমিটির প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল কামরুল হাসান।

তিনি বলেন, দুর্ঘটনার মূল করণ ছিল, পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটি। ট্রেনিংয়ের সময় যখন ফ্লাই করছিলেন পরিস্থিতি তার আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। এটা হচ্ছে কনক্লুশন। এই পুরো তদন্ত কমিটি ১৫০ জনের সঙ্গে কথা বলেছে। তার মধ্যে এক্সপার্ট আছেন, আই উইটনেস আছেন। তার মধ্যে ভিক্টিমস আছেন। সবার সঙ্গে তারা কথা বলেছেন। ওনারা ১৬৮টি তথ্য উদঘাটন করেছেন এবং তার মধ্যে তারা ৩৩টি রিকমেন্ডেশন করেছেন। প্রতিবেদনে অনেকগুলো ফাইন্ডিংসে অনেকগুলো রিকমেন্ডেশন এসেছে।

ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে বিফ্রিংয়ে তিনি বলেন, প্রতিবেদনে প্রধান সুপারিশ হচ্ছে, জননিরাপত্তার স্বার্থে এখন থেকে এয়ার ফোর্সের সব প্রাথমিক ট্রেনিং ঢাকার বাইরে পরিচালিত হবে। এখন থেকে এটার সুপারিশ করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

মাইলস্টোন স্কুলের ভবনটি রাজউকের বিএনবিসি রুলস মেনে অনুমোদন নেওয়া হয়নি বলেও তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বলে জানান শফিকুল আলম।

তদন্ত প্রতিবেদনে বিমানবাহিনীর ফ্লাইট স্বল্পতা এবং এয়ার ফোর্স এলাকায় ফায়ার সার্ভিসের বিশেষ সক্ষমতার কথাও উল্লেখ করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই দুপুরে প্রশিক্ষণ চলাকালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হয়। এ দুর্ঘটনায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ এখন পর্যন্ত ৩৬ জন নিহত হয়। আহত হয় শতাধিক।

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss