প্রথমবারের মতো ইউরো খেলতে আসা উত্তর মেসিডোনিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়েই গ্রুপপর্বের ইতি টানল ডাচরা। চলতি ইউরো কাপে সি গ্রুপের শেষ ম্যাচে উত্তর মেসিডোনিয়ার বিপক্ষে পরিষ্কার ফেবারিট ছিল নেদারল্যান্ডসই। মাঠের খেলায়ও মিলল এর ছাপ।
যার ফলে সি গ্রুপে নিজেদের সবগুলো ম্যাচই জিতল নেদারল্যান্ডস আর উত্তর মেসিডোনিয়া হারল নিজেদের সবকয়টি ম্যাচ। পূর্ণ ৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলোতে ডাচরা আর মেসিডোনিয়ানদের বিদায় নিতে হলো তিন ম্যাচে ৮ গোল হজমের গ্লানি নিয়ে।
ইউরো কাপে প্রথমবারের মতো খেলতে এসে গ্রুপের তিন ম্যাচ হেরে বিদায় নেয়া তৃতীয় দল উত্তর মেসিডোনিয়া। সর্বপ্রথম ১৯৮৪ সালে অভিষেক আসরের সব ম্যাচ হেরেছিল ডেনমার্ক। পরে ১৯৯৬ সালের আসরে প্রথমবার অংশ নিয়ে তুরস্ক হেরেছিল সব ম্যাচ। এর ২৫ বছর পর তৃতীয় দল হিসেবে এ তালিকায় নাম তুলল উত্তর মেসিডোনিয়া।
অন্যদিকে নেদারল্যান্ডস ফেরাল নিজেদের ১৩ বছর আগের স্মৃতি। ইউরো কাপের ইতিহাসে এ নিয়ে তৃতীয়বার গ্রুপের সব ম্যাচ জিতেছে তারা। এর আগে ২০০০ সালের প্রথমবার সব ম্যাচ জিতেছিল দলটি। আর সবশেষ ২০০৮ সালে গড়েছিল একই কীর্তি।
উত্তর মেসিডোনিয়াকে খালি হাতে ফেরানোর ম্যাচে প্রথম গোল হজম করে বসেছিল নেদারল্যান্ডসই। ম্যাচের ১০ মিনিটের মধ্যেই জালে বল ঢুকিয়েছিলেন ইভান ট্রিকোভস্কি। কিন্তু অফসাইডে বাতিল হয়ে যায় সেটি। ফলে আসরে প্রথমবারের মতো লিড নেয়া হয়নি উত্তর মেসিডোনিয়ার।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আরও একবার নেদারল্যান্ডসের জালের ঠিকানা খুঁজে নিয়েছিল উত্তর মেসিডোনিয়া। এবারও উঠে যায় লাইন্সম্যানের অফসাইডের পতাকা, বাতিল হয় গোল। এ যাত্রায় নেদারল্যান্ডসের সাজানো অফসাইড ফাঁদে পড়েন বদলি খেলোয়াড় ডার্কো কার্লিনভ।
এর বাইরে সারা ম্যাচে তেমন একটা ভালো খেলতে পারেনি উত্তর মেসিডোনিয়া। ম্যাচের ২৪ মিনিটের সময় প্রথম গোল করেন সম্প্রতি স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনায় যোগ দেয়ার ঘোষণা দেয়া মেম্ফিস ডিপাই। ডনিয়েল মালেনের পাস থেকে ঠাণ্ডা মাথায় বাম পায়ের শটে বল জালে জড়ান তিনি।
বিরতিতে যাওয়ার আগে আর ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারেনি ডাচরা। তবে ম্যাচের ৫১ ও ৫৮ মিনিটে জোড়া গোল করে মেসিডোনিয়াকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন জর্জিনিও ভাইনাল্ডুম। তার প্রথম গোলের এসিস্ট করেন মেম্ফিস ডিপাই আর দ্বিতীয়টি ছিল বার পোস্টে ফেরত লেগে আসা বল থেকে।
এটি ছিল উত্তর মেসিডোনিয়ার কিংবদন্তি খেলোয়াড় গোরান পান্দেবের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। তাকে সেরা উপহার দেয়া সর্বোচ্চ চেষ্টাই করেছিল মেসিডোনিয়ার খেলোয়াড়রা। দুইবার বল জালে জড়ালেও সেগুলো হয় অফসাইড। ফলে ০-৩ গোলের পরাজয় নিয়েই শেষ করতে হয়েছে পান্দেবকে।
চস/আজহার