spot_img
BETA Version ...
শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৩

সর্বশেষ

আজ সেই ভয়াবহ ৯/১১

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ৯/১১-এর হামলার ২২তম বার্ষিকী আজ (সোমবার)। ২০০১ সালের এই দিনে চারটি যাত্রীবাহী বিমান ছিনতাই করে সমন্বিত আত্মঘাতী হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।

এ দিনটিতে বিভিন্ন সমাধি, ফায়ারহাউস, সিটি হল এবং বিভিন্ন স্থানে সেই ভয়াবহতার ২২তম বার্ষিকী পালন করছেন মার্কিনিরা। নিউ ইয়র্কে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে বিমান হামলা চালিয়ে তা মোমের মতো গলিয়ে দেয় সন্ত্রাসীরা। এর ভিতর যে মানুষ ছিলেন, তারা নির্মমতার শিকার হন।

শতাব্দীর অন্যতম ভয়াবহ এই হামলায় প্রাণ হারান ২ হাজার ৯৭৭ জন। ওই হামলায় নিহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৬৪৯ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। এখনও অবশ্য ১ হাজার ১০৪ জনের পরিচয় মেলেনি।

৯/১১ নামে পরিচিতি পাওয়া ওই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে’ শামিল হয় পশ্চিমা দুনিয়া। ওই হামলার জন্য আল কায়েদাকে দায়ী করে দলটির নেতা ওসামা বিন লাদেনের ঘাঁটি আফগানিস্তানে হামলা চালায় ওয়াশিংটন। ক্ষমতাচ্যুত করা হয় লাদেনের মিত্র তৎকালীন তালেবান সরকারকে।

তবে গত ২২ বছরে পরিবর্তন এসেছে সেই দৃশ্যপটেও। ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার দুই দশকের মাথায় আফগানিস্তান ছাড়ে যুক্তরাষ্ট্র। ফের কাবুলের শাসন ক্ষমতা ছিনিয়ে নেয় তালেবান।

২২ বছর পর দুই নিহতের পরিচয় শনাক্ত করে এক বিবৃতিতে শুক্রবার নিউ ইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেন, সর্বশেষ এক নারী ও এক পুরুষের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। এটা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তি এনে দিতে পারে।

সর্বশেষ নিহত দুইজনের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে অত্যাধুনিক সিকোয়েন্সিং প্রযুক্তির কল্যাণে। এটি ডিএনএ পরীক্ষার চেয়ে বেশি সংবেদনশীল ও দ্রুত। নিহতদের পরিবারের অনুরোধে তাদের পরিচয় প্রকাশ হয়নি।

প্রসঙ্গত, ২২ বছর আগের সেই হামলায় অংশ নেয়া ব্যক্তিরা বেশিরভাগই সৌদি নাগরিক। দুটি বিমান আঘাত হানে নিউ ইয়র্কের টুইন টাওয়ারে হামলায় প্রথমে টুইন টাওয়ারের দক্ষিণ অংশ এবং পরে উত্তর অংশ ধসে পড়ে। এ সময় ভবন দুটির উপর তলায় মানুষ আটকা পড়ে যান। বিমান ভবন দুটি আঘাত হানার পরপর আগুন ধরে যায়। সে ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় আকাশ। ১১০ তলার দুটি ভবন নিমিষেই মাটিতে গুঁড়িয়ে পড়ে। হামলার ভয়াবহতা এতটাই ছিল যে নিখোঁজ শত শত মানুষকে শনাক্ত করার কোনও চিহ্নই খুঁজে পাওয়া যায়নি। মারা যান ২ হাজার ৭৫৩ জন।

তৃতীয় বিমানটি পেন্টাগনে পশ্চিম অংশে আঘাত হেনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে। রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির উপকণ্ঠে অবস্থিত মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দফতর এই পেন্টাগন।

চতুর্থ বিমানটি আছড়ে পড়ে পেনসিলভেনিয়ার এক মাঠে। ছিনতাই হওয়া চতুর্থ বিমানের যাত্রীরা ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর পর সেটি পেনসিলভেনিয়ায় বিধ্বস্ত হয়।

২০০১ সালের এই সন্ত্রাসী হামলায় বদলে দিয়েছিল আমেরিকাকে। তার পর জল গড়িয়েছে অনেক দূর। হত্যা করা হয়েছে আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে। প্রতি বছর ওই তারিখে নিউ ইয়র্কের গ্রাউন্ড জ়িরো, যেখানে দাঁড়িয়ে ছিল ওই টুইন টাওয়ার, সেখানে এ দিন প্রার্থনা ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss