spot_img

২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, বৃহস্পতিবার
৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পশ্চিমবঙ্গে এগিয়ে মমতার তৃণমূল

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের বুথফেরত জরিপে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির জয়ের আভাস পাওয়া গেলেও বেলা বাড়ার পর থেকে এগিয়ে আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস।

মঙ্গলবার (৪ জুন) বেলা ১টা পর্যন্ত ঘোষিত প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, এ রাজ্যের ৪২টি আসনে মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারে থাকা তৃণমূল এগিয়ে আছে ৩১টি আসনে। আর ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি এগিয়ে আছে ১০টি আসনে।

অথচ সকাল ৮টায় গণনা শুরুর পর হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। এক পর্যায়ে বিজেপির এগিয়ে যাওয়ার খবর দিচ্ছিল আনন্দবাজার। তখন তৃণমূল ১০ আসনে এবং বিজেপি ১৩ আসনে এগিয়ে ছিল।

তবে ঘণ্টা তিনেক পর তৃণমূলের এগিয়ে থাকার বিষয়টি মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়। ধরে প্রাণ ফিরে পায় মমতা ‘দিদির’ সমর্থকরা।

আনন্দবাজার জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের ৪২ আসনে এবার প্রার্থী হয়েছিলেন ৫০৭ জন। ৫৫টি গণনাকেন্দ্রে এখন ভোট গণনা চলছে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে।

পশ্চিমবঙ্গে লোকসভার ৪২টি আসনের মধ্যে ২০১৯ সালের নির্বাচনে তৃণমূল ২২টি এবং বিজেপি ১৮টি আসন পায়। এবারের নির্বাচনে মমতার রাজ্যে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে নানাভাবে চেষ্টা করেছে মোদীর বিজেপি। অন্যদিকে তৃণমূলও নিজেদের কর্তৃত্ব ধরে রাখতে মরিয়া।

সাত ধাপের ভোটের শেষ ধাপে শনিবার পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। অন্তত পাঁচটি সংস্থার বুথফেরত জরিপে বলা হয়, এ রাজ্যে বিজেপির কাছে ২ থেকে ৭টি আসন হারাতে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উচ্ছ্বাসে মেতেছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির নেতাকর্মীরা। এক্সিট পোলের ফলাফলকে মমতার জনপ্রিয়তা কমার ‘প্রমাণ’ হিসেবে দেখাচ্ছিলেন কেউ কেউ।

অবশ্য তাতে মমতার আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরেনি। বুথফেরত জরিপের আভাস আমলে নিচ্ছেন না জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, “আমরা দেখেছি ২০১৬, ২০১৯ এবং ২০২১ সালে কীভাবে এক্সিট পোল করা হয়েছিল। কোনো ভবিষ্যদ্বাণীই সত্য বলে প্রমাণিত হয়নি।

“সংবাদমাধ্যমের খোরাক হিসেবে দুই মাস আগে কিছু মানুষ ঘরে বসে তৈরি করেছে এসব কেন্দ্রফেরত জরিপ। এগুলোর কোনো মূল্য নেই।”

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss