spot_img

৮ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, মঙ্গলবার
২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সর্বশেষ

মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং পদত্যাগ করেছেন। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) মণিপুরের রাজ্যপাল অজয়কুমার ভাল্লার কাছে নিজের পদত্যাপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে বিজেপির অন্দরে অসন্তোষ এবং সোমবার কংগ্রেসের সম্ভাব্য অনাস্থা প্রস্তাবের মুখে এই সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।

বিজেপির বিধায়কেরাই অনাস্থা প্রস্তাবটি উত্থাপন করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছিল।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

এদিন সকালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করতে দিল্লিতে তলব করা হয়েছিল বীরেন সিংকে। মন্ত্রীর বাসভবনে দুই নেতার মধ্যে ১৫ মিনিটের একটি বৈঠক হয়। বীরেনের সঙ্গে বিজেপি এবং নাগা পিপলস ফ্রন্টের (এনপিএফ) ১৪ জন বিধায়ক ছিলেন।

ধারণা করা হচ্ছে, ৬০ সদস্যের মণিপুর বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন বীরেন সিং। সে কারণেই ১৪ জনের বেশি বিধায়ককে অমিত শাহর বাসভবনে নিয়ে যেতে পারেননি তিনি। বৈঠক থেকে বেরিয়ে বীরেন সাংবাদিকদের জানান, তিনি মণিপুরে ফিরে পদত্যাগ করবেন।

এরপর রবিবার বিকেলে মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে ফেরার পর রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন বীরেন সিং। সে সময় তার সঙ্গে মণিপুরে বিজেপির দায়িত্বে থাকা ওডিশার নেতা সম্বিত পাত্র এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি এ শারদা দেবী ছিলেন।

এর আগে শনিবার নিজ সচিবালয়ে বিজেপি নেতৃত্বাধীন শাসক জোটের বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন বীরেন সিং। সেখানে সোমবার থেকে শুরু হওয়া বিধানসভা অধিবেশন ও সম্ভাব্য অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। সম্ভবত সেখানেই তিনি বুঝে যান, বিধায়কদের বড় একটি অংশ তার নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করবে। এই অনাস্থা প্রস্তাবে বিজেপির আদিবাসী বিধায়কদের সঙ্গে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসও যোগ দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল।

ভারতের স্বাধীনতার পরবর্তী ইতিহাসে বীরেন সিংয়ের সময়কালকে মণিপুরের অন্যতম রক্তক্ষয়ী সময় হিসেবে চিহ্নিত করতে শুরু করেছে ভারতের সাংবাদিক ও ইতিহাসবিদদের একাংশ। দেড় বছরের বেশি সময় সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই সম্প্রদায়, কুকিসহ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর সংঘর্ষে আড়াই শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। গৃহহীন হয়েছেন হাজারো মানুষ।

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss