ট্যুর অপারেটরগুলোর নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করতে একটি আইনের খসড়া সংসদে তোলা হয়েছে।
সরকার বলছে, দেশের পর্যটন শিল্প বিকাশে ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইডের কার্যক্রম পরিচালনা এবং পর্যটকদের স্বার্থ সংরক্ষণে নতুন এই আইন হচ্ছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী শনিবার ‘বাংলাদেশ ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইড (নিবন্ধন ও পরিচালনা) বিল-২০২১’ সংসদে উত্থাপন করেন।
পরে বিলটি এক মাসের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলটি সংসদে উত্থাপনে আপত্তি জানান জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম।
তিনি বলেন, “স্বাধীন ব্যবসার অধিকার সংবিধান দিয়েছে। ট্যুর অপারেটররা পর্যটনকে সারা বিশ্বে পরিচিত করালো। তাদের কাজ ধূলিসাৎ করতে এই বিল। সরকার ব্যবসা সহজ করতে চাচ্ছে। আর প্রতিমন্ত্রী পায়ে বেড়ি পরিয়ে সাঁতার কাটতে পাঠাচ্ছেন।”
জবাবে প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, “ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইডের কার্যক্রমে সহায়তা ও একটি বিধিবদ্ধ বিধানের আওতায় আনতে এই আইন করা হয়েছে। এই আইন তাদের কার্যক্রমে কোনভাবেই বাধাগ্রস্ত হবে না। প্যানডেমিক সময়ের মধ্যেও পর্যটন করপোরেশন যতদূর সম্ভব পর্যটন কার্যক্রম প্রমোট করেছে। জাতির পিতা পর্যটন করপোরেশন গঠন করেছেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ট্যুরিজম বোর্ড গঠন করেছেন। এই আইন ওই করপোরেশন ও বোর্ড গঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হবে।”
টোয়াবসহ স্টেক হোল্ডারদের সাথে আলাপ করে তাদের সুবিধার জন্য এ আইন হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী। পরে ফখরুল ইমামের আপত্তি সংসদ নাকচ করে দেয়।
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী কোনো ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইড পরিচালনার জন্য সরকারের নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ থেকে সনদ নিতে হবে। আইনটি কার্যকর হওয়ার তিন মাসের মধ্যে বিদ্যমান ট্যুর অপারেটরগুলোকে নিবন্ধন সনদ নিতে হবে।
প্রস্তাবিত আইনের বিধান মতে, নিবন্ধন সনদ ছাড়া কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পর্যটকদের জন্য ভ্রমণ সেবা সংশ্লিষ্ট আবাসন, আহার বা আপ্যায়ন, পরিবহন, পর্যটন আকর্ষণ সংশ্লিষ্ট স্থান পরিদর্শন, পরিভ্রমণ সেবা বা অন্যান্য পর্যটন সুবিধা অন্তর্ভুক্ত করে দলভিত্তিক বা একক ট্যুর আয়োজন ও পরিচালনা ও ট্যুর গাইড হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে না।
বিদেশি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইডের কার্যক্রম পরিচালনা করতে চাইলে সরকারের অনুমতি নিতে হবে।
প্রস্তাবিত আইনে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আইনের বিধান লঙ্ঘন করলে তার জন্য সর্বোচ্চ ৬ মাসের জেল ও দুই লাখ টাকা জরিমানার বিধান করা হয়েছে। এই আইনের অপরাধ মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিচার করা যাবে।
চস/আজহার