অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের ধৈর্য ধরতে হবে। কারণ বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন।
সোমবার (০৮ জুলাই) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
নবম গ্রেড (পূর্বতন প্রথম শ্রেণি) ও ১০ম থেকে ১৩তম গ্রেডের (পূর্বতন দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকার পরিপত্র জারি করে। ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জারি করা এমন পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে রিট দায়ের করেন অহিদুল ইসলামসহ সাত শিক্ষার্থী। একই বছরের ৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করেন। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে চলতি বছরের ৫ জুন রায় দেন হাইকোর্ট।
রায়ের পর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. মুনসুরুল হক চৌধুরী জানান, পুরো কোটা বাতিল না করে কেবল নবম থেকে ১৩তম গ্রেডের কোটা বাতিল করেছিলেন। এটা অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এখন থেকে এসব গ্রেডে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় তাদের সন্তানদের নিয়োগে আর কোনো বাধা নেই।
এরপর ওই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। হাইকোর্টের রায় স্থগিতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ ‘নট টু ডে’ (আজ শুনানি নয়) আদেশ দেন। রিট আবেদনকারী পক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এটা বিচারাধীন বিষয়। আমি সরকারের পক্ষ থেকে মামলাটা করেছি। এখন কিছু বলতে চাচ্ছি না। রায় টা (হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি) পেয়ে নেই। রায় পেলে দেখবো। এটা সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত। এখানে আদালত কতটুকু হস্তক্ষেপ করতে পারবেন সেটাই আদালতের সামনে তুলে ধরেছি।
রায় পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, (হাইকোর্ট) আদালত একটা আদেশে দিয়েছেন, সেই আদেশের বিরুদ্ধে সরকার আপিল বিভাগে গিয়েছে। এই মুহূর্তে আদালতের প্রতি ওনাদের (শিক্ষার্থীদের) যে আন্দোলনটা, এটা না করাই উচিত হবে। ওনাদেরকে আমি বলব আদালতে যে বিষয়টা বিচারাধীন, সেই বিষয়টা রাজপথে না এনে, আদালতে তো আছেই, বিচারটা হচ্ছে, হবে; সেই ক্ষেত্রে ওনাদের আমি একটু ধৈর্য ধরার অনুরোধ করব। আমি জানি না আন্দোলনটা ওনারা কেন করছেন, তবে আন্দোলন না করলেই ভালো।
তিনি আরও বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার এ বিষয়টি আবার শুনানির জন্য আসবে।
চস/স