বাংলাদেশকে উপহার স্বরূপ দ্বিতীয় ধাপে দেওয়া চীনের ৬ লাখ টিকা ১৩ জুনের মধ্যে পাঠানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছে। আজ শনিবার (৫ জুন) সকালে ঢাকায় চীনা দূতাবাসের উপপ্রধান হুয়ালং ইয়ান ফেসবুক আইডিতে এ কথা জানান।
এমন সময় উপহারের টিকা পাঠানোর প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন হুয়ালং, যখন চীন থেকে টিকা কেনা নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে। টিকার দাম প্রকাশ করে দেওয়ায় চীন ‘বিরক্ত’ বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
এর আগে ১২ মে চীন থেকে উপহার হিসেবে পাঠানো সিনোফার্মের পাঁচ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশে আসে।
দেশে গত ৭ ফেব্রুয়ারি দেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত এ টিকা দেশে আনার বিষয়ে গত নভেম্বর বাংলাদেশ সরকার, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মার সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়। অগ্রিম টাকাও পরিশোধ করে বাংলাদেশ।
চুক্তি অনুসারে ৩ কোটি ডোজের প্রতিমাসে ৫০ লাখ ডোজ করে বাংলাদেশের পাওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত ৭০ লাখ টিকা এসেছে। নরেন্দ্র মোদি সরকার টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলে সরবরাহ বন্ধ করে দেয় সেরাম। শেষ পর্যন্ত টিকা সংকটে বন্ধ হয়ে যায় দেশের টিকাদান কর্মসূচি।
কেনা টিকার জন্য ভারতের সর্বোচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করেও ব্যর্থ বাংলাদেশ। চুক্তিতে দায়মুক্তি দিয়ে রাখায় সেরাম ইনস্টিটিউটের বিরুদ্ধে মামলা করারও সুযোগ নেই।
আরো পড়ুন: রাজশাহী মেডিকেলে আরো ৮ জনের মৃত্যু
বিকল্প উৎস না রাখায় সরকার টিকার জন্য দ্বারস্থ হয় যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়ার প্রতি। পরবর্তীতে চীনের সিনোফার্ম আর রাশিয়ার স্পুৎনিক-ভি টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় ঔষধ প্রশাসন।
চস/স