spot_img

৩রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, সোমবার
১৭ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ

পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন মিয়া মোহাম্মদ শাহবাজ শরিফ। সোমবার (১১ এপ্রিল) পাকিস্তান পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি তাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেছে।

শাহবাজের নিজের দল মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)-এর পাশাপাশি পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি), মুত্তাহিদা মজলিস-ই-আমল-সহ বেশ কয়েকটি দলের সমর্থন পেয়েছেন শাহবাজ। তবে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির বৃহত্তম দল, সদ্য-প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ পাকিস্তান (পিটিআই) নয়া প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের উদ্যোগের বিরোধিতা করে সভা থেকে ওয়াকআউট করে।

দেশটির সংবাদমাধ্যম ডন বলছে, পাকিস্তানের ২৩ তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন পিএমএল-এনের প্রেসিডেন্ট শেহবাজ শরিফ। পিটিআইয়ের সদস্যরা ভোট বর্জন করায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে ১৭৪ জন আইনপ্রণেতা তার পক্ষে ভোট দেন।

পার্লামেন্টে এই ভোটাভুটিতে শাহবাজ শরিফের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন পিটিআইয়ের সহ–সভাপতি ও সদ্য বিদায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি। তাঁর নেতৃত্বে পিটিআইয়ের আইনপ্রণেতারা অধিবেশন বর্জন করায় শাহবাজের আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলো না। পরে ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য যেখানে ১৭২ জন সদস্যের সমর্থন লাগে, সেখানে ১৭৪ জনের রায় পেয়েছেন শাহবাজ শরিফ।

৭০ বছর বয়সী শাহবাজের জন্ম লাহোরে। ধনী ব্যবসায়ী পরিবারের এই সন্তানের পড়াশোনা পাকিস্তানেই। পড়াশোনা শেষে পারিবারিক ব্যবসায় যোগ দেন তিনি। বর্তমানে পাকিস্তানের একটি ইস্পাত কারখানায় যৌথ মালিকানা রয়েছে তার।

শাহবাজের রাজনৈতিক জীবন শুরু ১৯৯৭ সালে, পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে। ১৯৯৯ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানে কারারুদ্ধ হন তিনি। পরের বছরেই সৌদি আরবে নির্বাসনে পাঠানো হয় তাঁকে।

দীর্ঘদিন নির্বাসনে থাকার পর ২০০৭ সালে নিজ দেশে ফিরে আসেন শাহবাজ। আবার পা রাখেন রাজনীতিতে। ২০০৮ সালে নির্বাচনে জিতে ফের পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। তৃতীয় মেয়াদে শাহবাজ প্রদেশটির মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন ২০১৩ সালে।

শাহবাজ জাতীয় রাজনীতিতে পা রাখেন তাঁর ভাই নওয়াজ শরিফ দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে পাকিস্তান ত্যাগের পর। এরপর তিনি পাকিস্তান মুসলিম লিগের (নওয়াজ) সভাপতির দায়িত্ব পান। তবে নওয়াজের বিরুদ্ধে ওই মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল বলে দাবি করে আসছে তাঁর পরিবার ও সমর্থকেরা।

শাহবাজ শরিফের বিরুদ্ধেও একাধিক দুর্নীতির মামলা হয়েছে। ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালেও মামলার মুখে পড়েছেন তিনি। তবে সেসব মামলায় শাহবাজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হয়নি।

এদিকে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সুসম্পর্কের দিক দিয়ে ভাই নওয়াজের চেয়ে শাহবাজ আলাদা বলে উল্লেখ করেছেন বিশ্লেষকেরা। তাঁদের ভাষ্য, শাহবাজের সঙ্গে সেনাবাহিনীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। পারমাণবিক শক্তিধর এ দেশটিতে পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত নীতিতে ব্যাপক প্রভাব রয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর।

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss