spot_img

২৩শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার
৮ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

শিশু ডিপজল হত্যা : ফাঁসির তিন আসামিই খালাস

বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার আসামিদের আপিল গ্রহণ ও ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য আবেদন) খারিজ করে এ রায় দেয়।

আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন এ কে এম ফজলুল হক খান ফরিদ, সঙ্গে ছিলেন সাইফুর রহমান রাহি। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এম এ মান্নান মোহন ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আতিকুল হক সেলিম।

খালাস পাওয়া তিন আসামির মধ্যে শিশুটির মাও রয়েছেন। এরা হলেন ডিপজলের মা লতিফা বেগম, মোল্লাহাট উপজেলার নগরকান্দি গ্রামের আয়েন উদ্দিন মোল্যার ছেলে মনির মোল্যা ও লুৎফর রহমানের স্ত্রী নাজমা বেগম। তাদের মধ্যে মনির ও নাজমা ভাই-বোন।

এ কে এম ফজলুল হক খান ফরিদ পরে সাংবাদিকদের বলেন, “মামলায় চাক্ষুস সাক্ষী না থাকা এবং শিশুটির হত্যার বিষয়ে বাদীপক্ষের তথ্য-বক্তব্যে গড়মিল থাকায় আসামিরা খালাস পেয়েছেন।”

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এম এ মান্নান মোহন বলেন, “সাক্ষিদের সাক্ষ্যে গড়মিল থাকায় এবং বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণে গড়মিল থাকায় ডেথ রেফারেন্স রিজেক্ট করা হয়েছে। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।”

মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, লতিফা বেগমের সঙ্গে প্রতিবেশী মনির মোল্যার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠেছিল। এ নিয়ে ঝগড়ার এক পর্যায়ে লতিফা বেগমকে মারধর করেন স্বামী ইকু বিশ্বাস। সম্পর্কে বাধা ও মারপিটের ঘটনায় আসামিরা ইকু বিশ্বাসের ওপর ক্ষিপ্ত হন।

২০০৫ সালের ১২ এপ্রিল ভোরে ডিপজল নিখোঁজ হয়। পরদিন বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই দিনই মোল্লাহাট থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়।

ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর ওই বছরের ২৯ অক্টোবর মনির মোল্যা ও নাজমা বেগমকে আসামি করে মোল্লাহাট থানায় একটি হত্যা মামলা করেন ইকু বিশ্বাস।

তদন্ত শেষে ২০০৬ সালের ১০ মে এজাহারভুক্ত দুই আসামি ও শিশুটির মা লতিফা বেগমকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মোল্লাহাট থানার এসআই মো. নজিবুল হক।

আট বছর ধরে বিচার চলার পর ২০১৪ সালের ২০ এপ্রিল শিশুপুত্র ডিপজলকে হত্যার দায়ে মা ও দুই প্রতিবেশিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন বাগেরহাটের দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম সোলায়মান।

পরে ডেথ রেফারেন্স হিসেবে বিষয়টি হাই কোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা ফৌজদারি আপিল ও জেল আপিল করেন। আসামিদের আপিল গ্রহণ ও ডেথ রেফারেন্স খারিজ করে হাই কোর্ট মঙ্গলবার রায় দেয়।

সূত্র : বিডি নিউজ

 

চস/আজহার

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss