চট্টগ্রামের নগরবাসীর কর প্রদান সহজতর করতে নগরের ওয়াসা মোড়ে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের নিচতলায় চসিকের কর মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) কর মেলায় হোল্ডিং কর, ই-ট্রেড লাইসেন্সের শতভাগ সারচার্জ মওকুফ, আপিল শুনানি এবং বিভিন্ন তথ্য প্রদানের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
জনগণ যাতে সহজে কর পরিশোধ করতে পারে, সে জন্য দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, চট্টগ্রামকে গ্রিন ও ক্লিন সিটিতে রূপান্তর করতে নিয়মিত কর পরিশোধ করুন।
জনগণের ওপর করের অতিরিক্ত বোঝা চাপিয়ে দিতে চাই না, বরং করদাতাদের জন্য স্বস্তিদায়ক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে চাই। জনগণের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি তারা যাতে সময়মত কর দিয়ে দেয়। কারণ হোল্ডিং ট্যাক্স যদি আমরা ঠিকমত পেয়ে থাকি তাহলে শহরকে সুন্দর করতে পারবো।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলার লক্ষ্যে আমরা বিভিন্নভাবে কর আদায় বাড়ানোর চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যেই বন্দরকে আমরা চিঠি লিখেছি। আমাদের যে ন্যায্য কর তা যাতে দেওয়া হয়। সড়কে বন্দরের পণ্যবাহী ৭০-৮০ টনের যান চলাচল করায় রাস্তা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অথচ, শহরের অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত অর্থনৈতিক সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের রাস্তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তার বিপরীতে তাদের কাছ থেকে যথাযথ কর আদায় করা সময়ের দাবি। এছাড়া বিভিন্ন সংস্থা এখনো যারা কর দিচ্ছে না আমরা তাদেরও আহ্বান জানাচ্ছি। বিভিন্ন জায়গায় সরকারি অনেক কর বাকি আছে তাদের আমরা আহবান জানাচ্ছি সময়মত কর দিয়ে সহযোগিতা করুন। আমরা আপনাদের ডিসকাউন্ট করার চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, আমরা জনগণের সহায়ক হিসেবে কাজ করতে চাই। জনগণের ওপর করের বোঝা আমরা চাপিয়ে দিতে চাই না। আমার করদাতারা যাতে স্বস্তিদায়ক অবস্থায় কর দিতে পারে সে ব্যবস্থা আমরা করে দেব ইনশাআল্লাহ। তবে এর মধ্যে যাদেরগুলো নিষ্পত্তি হয়ে গেছে সেগুলো আর কিছু করার থাকবে না। যেহেতু এটা মিউচুয়াল আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়েছে। সেগুলো আমাদের কিছু করার নেই। কিন্তু নিষ্পত্তি যেগুলো এখনো হয়নি সেগুলো ইনশাআল্লাহ আমরা আপনাদের স্বস্তিদায়িক অবস্থায় আপনাদের ওপর করের বোঝা না চাপিয়ে আপনারা যাতে এই করগুলো সহজে দিতে পারেন সেই ব্যবস্থা করে দেব। শহরকে আরও সুন্দর ও আধুনিক করতে ট্রেড-লাইসেন্স অটোমেশনের আওতায় অনেকটা এসে গেছে। শিগগির হোল্ডিং ট্যাক্স অনলাইনে পরিশোধের সুবিধা চালু করা হবে, যাতে নাগরিকরা হয়রানিমুক্তভাবে কর দিতে পারেন।
এখনোও যদি কোনো কর্মকর্তা আপনাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত কিছু করতে চায় আমাদের জানাবেন। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা একটা সুন্দর সংস্কৃতি চালু করতে চাই। দুর্নীতিবিহীন সুন্দর একটিশহর আমরা বিনির্মাণ করতে চাই।
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ মেলায় উপস্থিত ছিলেন প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা সরোয়ার কামাল, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, রাজস্ব কর্মকর্তা মো. সাব্বির রহমান সানি প্রমুখ।
চস/স