পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে আগুনমুখা নদীতে স্পিডবোট ডুবে নিখোঁজের ৪০ ঘণ্টা পর পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে আগুনমুখা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে বিভিন্ন সময়ে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
কাকড়ার চর থেকে প্রথম লাশটি উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। বাকি চারটি লাশ নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
প্রয়াতরা হলেন, রাঙ্গাবালী থানার পুলিশ কনেস্টবল মো. মহিব্বুল্লাহ, কৃষি ব্যাংক বাহেরচর শাখার পরিদর্শক মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আশা ব্যাংকের বাহেরচর খালগোড়া শাখার কর্মকর্তা কবির হোসেন, দিনমজুর মো. ইমরান এবং মো. হাসান মিয়া। এদের সবার বাড়ি পটুয়াখালীর বিভিন্ন এলাকায়।
রাঙ্গাবালী থানার ওসি আলী আহমেদ জানান, সকাল থেকে এসব লাশ আগুনমুখা নদীর বিভিন্ন স্থানে ভাসমান অবস্থায় দেখে উদ্ধার করা হয়েছে।
“উদ্ধারকৃত লাশ কোড়ালিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় রাখা হয়েছে। লাশ শনাক্ত করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”
মৃতদেহ ফুলে উঠলেও এখন পর্যন্ত বিকৃত হয়নি তাই পরিবারের সদস্যরা মৃতদের সহজেই শনাক্ত করতে পারবেন বলেন ওসি।
গত বৃহস্পতিবার দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে জেলার মুল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন উপজেলা রাঙ্গাবালীর কোড়ালিয়া লঞ্চঘাট থেকে গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি লঞ্চঘাট যাওয়ার পথে আগুনমুখা নদীতে প্রচণ্ড ঢেউয়ের কবলে পরে তলা ফেটে যাত্রীবাহী স্পীডবোট ডুবির ঘটনায় যাত্রীদের ১২ জন উদ্ধার হলেও পাঁচ জন নিখোজ ছিলেন।
চস/আজহার