spot_img

২১শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, রবিবার
৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

৯ মার্চ শিশু সায়মা হত্যার রায়

রাজধানীর ওয়ারীতে সিলভারডেল স্কুলের ছাত্রী সামিয়া আফরিন সায়মাকে (৭) ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় হওয়া মামলার রায় হবে আগামী ৯ মার্চ।

বৃহস্প‌তিবার (৫ মার্চ) রাষ্ট্র ও আসা‌মিপক্ষের যু‌ক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ঢাকার প্রথম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কাজী আব্দুল হান্নান রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

এ মামলায় চলতি বছরের ২ জানুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ১৯ ফেব্রুয়ারি। গত ২৩ ফেব্রুয়া‌রি আসা‌মিদের আত্মপক্ষ সমর্থন শেষে যু‌ক্তিতর্কের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়ে‌ছিল।

গত বছরের ৫ নভেম্বর এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির ওয়ারী জোনাল টিমের পরিদর্শক মোহাম্মদ আরজুন। গত ২০ নভেম্বর ঢাকার মহানগর হাকিম মইনুল ইসলাম অভিযোগপত্রটি ‘দেখিলাম’ লিখে স্বাক্ষরের পর মামলাটি বিচারের জন্য এক নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এ বিচারের জন্য বদলির আদেশ দেন।

চলতি বছরের ২ জানুয়ারি মামলায় অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

আরো পড়ুন: ইতালিতে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০৭

২০১৯ সালের ৫ জুলাই সন্ধ্যার পর থেকে শিশু সায়মার খোঁজ পাচ্ছিল না তার পরিবার। অনেক খোঁজাখুজির পর আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওয়ারীতে বনগ্রামের খালি ফ্ল্যাটের নবম তলায় তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় তার গলায় রশি পেঁচানো, মুখ বাঁধা ও রক্তাক্ত অবস্থায় ছিল। খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার পরদিন সায়মার বাবা আব্দুস সালাম বাদী হয়ে ওয়ারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।

এ মামলার একমাত্র আসামির বাড়ি কুমিল্লায়। ওয়ারীর বনগ্রামের যে বহুতল ভবনে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনাটি ঘটেছে, তার অষ্টম তলায় খালাতো ভাই পারভেজের বাসায় থাকতেন তিনি। ঠাঁটারীবাজারে পারভেজের রঙের দোকানে তিনি কাজ করতেন। আর হত্যার শিকার সাত বছর বয়সী মেয়েটি ষষ্ঠ তলায় পরিবারের সঙ্গে থাকতো। অন্য দিনের মতই আট তলায় পারভেজের মেয়ের সঙ্গে খেলতে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়েছিল সে।

সায়মা হত্যা মামলার একমাত্র আসামি হারুন অর রশিদকে গত ৭ জুলাই তার বাড়ি কুমিল্লার তিতাস থানার ডাবরডাঙ্গা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। পরদিন আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় হারুন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠান আদালত। সেই থেকে তিনি কারাগারে।

**বাংলানিউজ ২৪ এর সৌজন্যে

চস/সুজন

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss