বাগেরহাটের মোল্লাহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের বহনকারী কয়েকটি বাসে হামলা করেছে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকেরা। এসব ছাত্ররা খুলনা থেকে কয়েকটি বাসে করে ঢাকায় শহীদ মিনার চত্বরে আয়োজিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিল।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে বৈষম্যবিরাধী ছাত্রদের বহনকারী বাসগুলো মোল্লাহাটের মাদরাসাঘাট বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আসলে একদল লোক প্রথমে বাসে হামলা চালায়। পরে ওই এলাকার আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকেরা জড়ো হয়ে বাস ও ছাত্রদের উপর হামলা চালায়। এতে বেশ কিছু শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এর ফলে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে প্রায় দুই ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে আনে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন খুলনার সমন্বয়ক জহুরুল তানভীর বলেন, খুলনা থেকে শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের বহর ঢাকায় যাচ্ছিল। পথে আমাদের উপর হামলা করে। এতে অনেকে আহত হয়েছে। ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসররা এই আক্রমণ করেছে বলে জানান তিনি।
আরেক সমন্বয়ক মিনহাজুল আবেদীন সম্পদ বলেন, পরিকল্পিতভাবে এই হামলা করা হয়েছে। তবে কোনো বাঁধা আমাদের লক্ষ্য থেকে সরাতে পারবে না। আমাদের ভাইদের রক্ত ঝরেছে। এর বিচার অতিদ্রুত করতে হবে, জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আর না হলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের মাধ্যমে জড়িতদের খুঁজে বের করবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
মোল্লাহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম ঘটানর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বেলা ১টার দিকে যান বাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ নিয়ে দুই দিন ধরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা হচ্ছে। সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটরে নিজেদের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেখানে বলা হয়, মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বেলা ৩টায় ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ (ঐক্যের জন্য যাত্রা) কর্মসূচি পালন করা হবে।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকেই শহীদ মিনার চত্বরে ছাত্র-জনতা জড়ো হতে থাকে। বেশিরভাগেই এসেছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। শহীদ মিনারের মূল বেদীতে মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে।
চস/স