spot_img

২১শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, রবিবার
৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সর্বশেষ

ভারতীয় হাইকমিশনে মনমোহন সিংয়ের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে গিয়ে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তিনি শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন। গত ২৬ ডিসেম্বর ড. মনমোহন সিংয়ের মৃত্যুর পর ভারতীয় হাইকমিশনে এই বই খোলা হয়।

ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর বারিধারায় হাইকমিশনে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান।

অধ্যাপক ইউনূস হাইকমিশনারের সঙ্গে কথা বলেন এবং তার দীর্ঘদিনের বন্ধু মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে তার স্মৃতির কথা স্মরণ করেন।

তিনি আরও বলেন, ভারতকে বৈশ্বিকভাবে অর্থনৈতিক শক্তিশালী দেশে পরিণত করতে মনমোহন সিং একটি বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের মৃত্যুতে সাত দিনের শোক পালন করছে ভারত।

গত বৃহস্পতিবার রাতে নয়াদিল্লির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।

জানা যায়, মনমোহন সিং বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। বাড়িতে হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ২৬ ডিসেম্বর রাত সাড়ে আটটার দিকে তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। রাত ৯টা ৫১ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি স্ত্রী ও তিন মেয়ে রেখে গেছেন।

মনমোহন সিং ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত টানা দুই মেয়াদে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন তিনি।

মনমোহন সিং ভারতের প্রথম ও একমাত্র প্রধানমন্ত্রী, যিনি হিন্দুধর্মাবলম্বী নন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী পি ভি নরসিমা রাওয়ের (১৯৯১-৯৬) সরকারে অর্থমন্ত্রী ছিলেন মনমোহন সিং। সে সময় তিনি দেশটির রাজনীতিতে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ মনমোহন সিং ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (আরবিআই) গভর্নর ছিলেন।

অর্থমন্ত্রী থাকাকালে মনমোহন সিং ভারতের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এ কারণে তাকে ভারতের অর্থনীতিতে উদারনৈতিক সংস্কারের ‘স্থপতি’ বলা হয়।

মনমোহন সিংয়ের জন্ম ১৯৩২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর বর্তমান পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের চকওয়াল জেলায়। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় কিশোর মনমোহন তাঁর পরিবারের সঙ্গে বর্তমানে ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের অমৃতসরে আসেন। পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫২ সালে স্নাতক ও ১৯৫৪ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। পরে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নেন।

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss