গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে চোর সন্দেহে গার্মেন্ট শ্রমিক হৃদয়কে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় অন্যতম প্রধান আসামিসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১। একাধিক জেলায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে র্যাব-১ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (অপস অ্যান্ড মিডিয়া) সালমান নূর আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ২৭ জুন রাতে কোনাবাড়ী এলাকায় গ্রিনল্যান্ড লিমিটেড নামের একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিক হৃদয়কে (১৯) চোর সন্দেহে বেঁধে রাতভর নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনে মৃত্যু হলে তার মরদেহ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঘটনার পরদিন ২৮ জুন নিহতের ভাই লিটন মিয়া কোনাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনায় প্রধান আসামি মেকানিক্যাল ইনচার্জ মো. রাশেদুল হাসান (৩৩)।
র্যাব জানায়, গত ২ জুলাই সিরাজগঞ্জের তাড়াশ থানাধীন খালকুলা বাজার এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাশেদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ওইদিন রাতেই টাঙ্গাইলের মধুপুর থেকে সিকিউরিটি গার্ড মো. শামীম আহমেদ (৩৭) এবং পাবনার সাথিয়া থেকে আরেক মেকানিক্যাল ইনচার্জ কাওছার হোসেনকে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়া, ১ জুলাই গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকা থেকে বেল্লাল হোসেন (৪৩) নামের আরেক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সবাই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
এদিকে, হৃদয়ের মৃত্যুতে স্থানীয় শ্রমিকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং গাজীপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে হত্যার বিচার দাবি করেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ পরবর্তীতে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করে।
চস/স


