spot_img

২৮শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, সোমবার
১৩ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

দেশে করোনায় একদিনে আরো ২১ জনের মৃত্যু

গতকাল দেশে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৬০২ জনের করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত ও ২১ জনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আজ মঙ্গলবার আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ১ হাজার ২৫১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা। এ নিয়ে সর্বমোট ২৫ হাজার ১২১ জনের করোনা শনাক্ত হলো।

এছাড়াও একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকালও তার আগের ২৪ ঘণ্টায় একই সংখ্যক মানুষ মারা গেছেন। এ নিয়ে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩৭০ জনের মৃত্যু হলো।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে গেল ২৪ ঘণ্টা করোনা পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তে ৯ হাজার ৯১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ৮ হাজার ৪৪৯টি। এতে পজেটিভ এসেছে ১ হাজার ২৫১টি। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪৫টিতে। এসব পরীক্ষা করা হয়েছে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের ৪২টি ল্যাবে।

তিনি আরো জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরো ৪০৮ জন। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪ হাজার ৯৯৩ জন।

মারা যাওয়া ২১ জনের মধ্যে ১৩ জন হাসপাতালে মারা গেছেন, বাড়িতে তিনজন এবং হাসপাতালে মৃত অব্স্থায় এসেছেন ৫ জন। তাদের বয়স বিশ্লেষণে তিনি বলেন, এদের মধ্যে ১১ থেকে ২০ বছর বয়সসীমার একজন রয়েছেন। এছাড়াও ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সের দুজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে চারজন এবং ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে দুজন রয়েছেন।

আরো পড়ুন: পাঁচ হাজার টেকনোলজিস্ট নিয়োগের ঘোষণা দিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে নাসিমা সুলতানা জানান, মৃতদের ১৪ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা, এছাড়াও চট্টগ্রামের চারজন, ময়মনসিংহ বিভাগে একজন, ‍খুলনায় একজন এবং বরিশাল বিভাগের রয়েছেন একজন।

গত ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এখন বৈশ্বিক মহামারীতে পরিণত হয়েছে। এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৪৮ লাখের বেশি। আর মৃতের সংখ্যা ৩ লাখ ১৮ হাজারেরও বেশি। বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। সেদিন তিনজন আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার কথা জানায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। এরপর মার্চ মাস শেষে ৫০ জনের মতো শনাক্তের কথা জানা গেলেও এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আক্রান্তের হার বাড়ে খুব দ্রুত।

চস/সোহাগ

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss