spot_img

১৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, বুধবার
২৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

মাবিয়ার অলিম্পিক স্বপ্ন ভেঙে গেল

টোকিও অলিম্পিকে ওয়াইল্ড কার্ড প্রাপ্তির শেষ দিন ছিল আজ (সোমবার)। জাপান সময় রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে যারা ওয়াইল্ড কার্ড পেয়েছেন তারা আসন্ন টোকিও অলিম্পিকে খেলবেন। এরপরে আর খেলোয়াড়দের নাম এন্ট্রি করা যাবে না। 

ওয়াইল্ড কার্ডের জন্য তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষায় ছিলেন বাংলাদেশের ভারত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত। সোমবার (৫ জুলাই) বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা যখন, তখন টোকিওতে রাত ১২টা। বাংলাদেশে যখন ঘড়ির কাঁটা ৯টা স্পর্শ করল তখনই মারিয়ার অলিম্পিক স্বপ্ন ভঙ্গ হলো।

টানা দুই সাফ গেমসে স্বর্ণজয়ী মাবিয়া এবারের অলিম্পিকের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। চোখে মুখে ছিল তার রঙিন স্বপ্ন। দেশের হয়ে ভারোত্তোলনে প্রথমবার অলিম্পিকের মঞ্চে লড়বেন। সে জন্য অনুশীলন করছিলেন মাবিয়া আক্তার সীমান্ত। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার। শেষ পর্যন্ত স্বপ্নভঙ্গ হলো।

শেষ দিনেও মাবিয়ার ওয়াইল্ড কার্ডের কোন খবর এলো না আন্তর্জাতিক ভারোত্তোন ফেডারেশন থেকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ)।

বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি ও টোকিও অলিম্পিকে বাংলাদেশের শেফ দ্য মিশন শেখ বশির আহমেদ (মামুন) বলেন, ‘আমরাও আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় ছিলাম মাবিয়া আক্তার সীমান্তের একটি ওয়াইল্ড কার্ডের জন্য। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি), অ্যাসোসিয়েশন অব ন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটিস (এএনওসি) ও অ্যাসোসিয়েশন অব সামার অলিম্পিক ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশনসের (এএসওআইএফ) সমন্বয়ে গঠিত ট্রাইপারটিট কমিশন আমাদের কোনো প্রকার নিশ্চয়তা দেয়নি। ফলে আমরা আর কোনো সম্ভাবনা দেখছি না। আজকের মধ্যে কার্ড নিশ্চিত না হওয়ায় মাবিয়ার অলিম্পিক খেলা হচ্ছে না।’

রিও অলিম্পিকেও খেলতে পারেননি মাবিয়া। সেই সময় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও ভারত্তোলন ফেডারেশনের দ্বন্দ্ব থাকায় অ্যাডহক কমিটি হয়। এজন্য আর মাবিয়ার ওয়াইল্ড কার্ড পাওয়া হয়নি৷ এবার করোনার জন্য উজবেকিস্তানে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে পারেননি। এজন্যই মূলত কার্ড পাননি। এরপরও ভারোত্তোলন ফেডারেশন চেষ্টা চালিয়েছিল।

চস/আজহার

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss