spot_img

৮ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার
২১শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সর্বশেষ

এটিএম আজহারের মুক্তির দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল তিনটায় চট্টগ্রাম নগরীর লালদীঘি ময়দানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী আয়োজিত বিশাল সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ এই আল্টিমেটাম দেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা নিয়মতান্ত্রিকতায় বিশ্বাসী। আমরা সুশৃঙ্খল। আমরা দেশপ্রেমিক শক্তি। দেশ গড়ার জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি থাকব। সংবিধানে রয়েছে আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান। সংবিধান অনুয়ায়ী সবাই শপথ নিয়েছেন। সংবিধান অনুসরণ করে কেনো আমাদের নেতা আজহারুল ইসলাম কেনো সুবিচার থেকে বঞ্চিত হল? বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে জামায়াতে ইসলামী ঘোষণা দিচ্ছে ৪৮ ঘণ্টা সময় দেয়া হল। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আমাদের প্রিয় নেতাকে যদি বুকে জড়িয়ে ধরে মুক্তমঞ্চে আনতে না পারি গোটা বাংলাদেশে লাগাতার কর্মসূচি পালন করা হবে। আমাদের ধৈর্য্য পরীক্ষা করবেন না। আমরা অনেক ধৈর্য্য পরীক্ষা দিয়েছি। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে পিছনে যাওয়ার জায়গা থাকে না। সুতরাং বাংলাদেশ ফুসে উঠার আগে, আন্দোলনের ঢেউ বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ার আগে আপনাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ, চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, চট্টগ্রাম অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক আহছানউল্লাহ ভুঁইয়া, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম অঞ্চল টিম সদস্য জাফর সাদেক, অধ্যক্ষ মাওলানা আমিরুজ্জামান ও অধ্যাপক নুরুল আমিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমীর আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, উত্তর জেলা জামায়াতের আমীর আলা উদ্দিন সিকদার, চট্টগ্রাম মহানগরীর নায়েবে আমীর ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ ও মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন, দক্ষিণ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হক, উত্তর জেলা সেক্রেটারি আবদুল জব্বার, নগর জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খাইরুল বাশার, মুহাম্মদ উল্লাহ, ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস ও মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী, নগর জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা এ কে এম ফজলুল হক, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান, ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম উত্তরের সভাপতি তানজির হোসেন জুয়েল, দক্ষিণের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন রনি প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ আরও বলেন, আজকে গোটা বাংলাদেশের মানুষ ফুঁসে উঠেছে। আমরা বন্দিশালার তালা ভাঙতে চাই না। বিগত ১৫ বছর আমাদের রক্ত ঝরেছে, কারাবরণ ও ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়েছে। বিরোধী দল দমন করার জন্য গায়েবি মামলা দায়ের করেছিল। জামায়াতকে আদর্শিকভাবে মোকাবেলা করতে না পেরে মামলা দিয়ে হয়রানি করেছিল। যে সাজানো মামলা এবং ফরমায়েশি রায়ের মাধ্যমে তৎকালীন কথিত রায়ে এটিএম আজহারকে বন্দি রাখা হয়েছে। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার জন্য অসংখ্যবার জেল কেটেছেন এটিএম আজহার। তিনি ১৩ বছরের অধিককাল কারাগারে বন্দি।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের পতনের পরও জামায়াতের এই শীর্ষ নেতাকে নির্যাতনের শিকার হতে হবে জাতি জানতে চায়। কেউ বলে অচল অবস্থার সৃষ্টি করব, কেউ কেউ ইঙ্গিত দিয়েছেন গাড়ি ভাঙচুর। না, জামায়াতে ইসলামী এগুলো করবে না। তবে জামায়াতে ইসলামী অন্যায়ের কাছে মাথানতও করবে না। আমরা ন্যায়বিচার, সুবিচার পাই নাই। আমাদের ছাত্রসমাজ, জনগণ পাঁচ আগস্টের যে বিপ্লব করেছে সেই বিপ্লবের স্লোগান ছিল উই ওয়ান্ট জাস্টিজ। জামায়াতে ইসলামীও ন্যায় বিচার চায়। এই ন্যায়বিচারে জন্য আমাদের তরুণ সমাজ রক্ত দিয়েছে। সেই রক্ত গঙ্গা প্রবাহিত হওয়ার পরও এখনো কেনো আমার ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হব। সেটা কি জুলুম, অন্যায় নয়? বাংলার জনগণ কখনোই অন্যায়ের কাছে মাথানত করে নাই, এখনো করবে না।

সভাপতির বক্তব্যে মহানগরী জামায়াতের আমীর আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলে বিচারিক কার্যক্রমসমূহ সারা বিশ্বে বিতর্কিত, প্রশ্নবিদ্ধ ও প্রত্যাখ্যাত। স্বৈরাচারের আমলে গ্রেপ্তারকৃত এটিএম আজহারুল ইসলামকে কারাগারে আটক রাখা তার প্রতি চরম জুলুম ও অন্যায় ছাড়া আর কিছুই নয়। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে তাঁকে এখনো আটক রাখায় জাতি বিস্মিত ও হতবাক।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মুহাম্মদ ইব্রাহিম হোসেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা জহিরুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা জামায়াত নেতা ও বিশিষ্ট সমাজসেবক ডা. আবু নাসের, উত্তর জেলা জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরী, নগর কর্মপরিষদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, প্রফেসর মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, হামেদ হাসান এলাহী, ছাত্রশিবির উত্তর জেলা সভাপতি শওকত আলী, পশ্চিম জেলা সভাপতি আব্দুল রহিম, ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি মোমিনুল হক, দক্ষিণের সেক্রেটারি মাঈনুল ইসলাম মামুন, চবি সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলী, উত্তর জেলা সেক্রেটারি মাইনুদ্দিন রায়হান প্রমুখ।

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss