একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় খালাস পাওয়া জামায়াতে ইসলামীর নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তিনি রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন। আজ বুধবার (২৮ মে) সকালে সেখান থেকেই তাঁকে মুক্তি দেয়া হয়।
এর আগে তাকে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছিল। কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক জান্নাত-উল ফরহাদ তাঁর মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার (গতকাল) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ আজহারের আপিলের রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ড ও আপিল বিভাগে তা বহাল রাখার সিদ্ধান্ত বাতিল করে তাঁকে সব অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়। আদালত বলেন, অন্য কোনো মামলা না থাকলে তাঁকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
রায়ে আদালত সংক্ষিপ্ত পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেন, “এই মামলায় বিচার নয়, বরং অবিচার হয়েছে। এ টি এম আজহারের বিরুদ্ধে উত্থাপিত তথ্য ও উপাত্ত যথাযথভাবে বিবেচনা করতে ব্যর্থ হয়েছে বিচারিক আদালত।”
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন গ্রহণ করে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ আপিলের অনুমতি দেন।
এর আগে, ২০১২ সালের ২২ আগস্ট রাজধানীর মগবাজারের নিজ বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চস/স