টেস্ট ক্রিকেট থেকে আনুষ্ঠানিক অবসর নিয়েছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। গত জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে অপরাজিত ১৫০ রানের ইনিংসটিই ছিল তার শেষ টেস্ট ইনিংস। যদিও সেই টেস্টের মাঝখানেই ড্রেসিংরুমে সতীর্থদের জানিয়ে দিয়েছিলেন, টেস্ট ক্রিকেটটা আর খেলবেন না তিনি।
আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলেও হারারে টেস্টেই সতীর্থদের কাছ থেকে বিদায়ী গার্ড অব অনার পেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। টেস্টের শেষ দিন টেলিভিশনে ধারাভাষ্যকারও বলেছিলেন মাহমুদুল্লাহর অবসরের কথা।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারে টেস্ট ছিল মাহমুদুল্লাহর ক্যারিয়ারের ৫০তম টেস্ট। এখন সেটি হয়ে থাকছে তার শেষ টেস্টও। ১২ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারে খেলা এই ৫০ টেস্টে ৩৩.৪৯ গড়ে মাহমুদউল্লাহ রান করেছেন ২৯১৪। উইকেট পেয়েছেন ৪৩টি। ছয়টি টেস্টে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি।
বিসিবির পাঠানো এক বিবৃতিতে আজ মাহমুদুল্লাহ বলেছেন, টেস্ট ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণা দেওয়াটা তার জন্য সহজ ছিল না। তিনি বলেন, ‘এত বছর পর ক্রিকেটের কোনো সংস্করণকে বিদায় বলাটা সহজ নয়। আমি সব সময়ই মাথা উঁচু করে থাকতে চাই। আমি মনে করি টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলার উপযুক্ত সময় আমার জন্য এটিই।’
টেস্টকে বিদায় বলার দিন মাহমুদুল্লাহ ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নাজমুল হাসানকে, ধন্যবাদ দিয়েছেন তাঁর দীর্ঘ দিনের সতীর্থদেরও।
যদিও বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা না করে মাহমুদুল্লাহর এমন সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছিলেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান। তবে হারারে টেস্টের পর মাহমুদুল্লাহ এ নিয়ে আর কোনো কথাই বলেননি। যখনই তার কাছে টেস্ট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত জানতে চাওয়া হয়েছে, তিনি সে প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেছেন।
বর্তমানে বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। টেস্ট ক্রিকেট ছাড়লেও বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি খেলে যেতে চান তিনি।
তিনি বলেন, ‘যদিও আমি টেস্ট থেকে অবসর নিচ্ছি, কিন্তু আমি বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি খেলা চালিয়ে যেতে চাই। মাঠে দেশের জন্য সামর্থ্যের সর্বোচ্চটাই দিতে চাই।’
চস/আজহার