ভারত সফরের আগে আন্দোলনের ডাক দেন ক্রিকেটাররা। সে সমস্যা মিটলেও নতুন সমস্যা সৃষ্টি হলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে নিয়ে। আইসিসির নিয়ম ভাঙায় সর্বনিম্ন ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা পেতে পারেন তিনি।
শোনা যাচ্ছিল সাকিব ভারত সফরে যাচ্ছেন না। তাকে বোঝানোর চেষ্টা চলছে। আর সাকিব শেষ পর্যন্ত না গেলে সম্ভাব্য করণীয় কী হবে?
তবে মঙ্গলবার সকালে এক জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনে জানা যায় সাকিব আসলে ভারতে যেতে চাচ্ছেন না, খবরটি ঠিক নয়। আসলে তিনি যেতে পারবেন না।
বাজিকরদের কাছ থেকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পেয়েও নিশ্চুপ থাকেন সাকিব। যদিও নিয়ম হলো এমন প্রস্তাব পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বোর্ড বা আইসিসি দুর্নীতি দমন বিভাগ আকসুকে জানানো। কিন্তু সাকিব সেই নিয়মের পাত্তা দেয়নি।
যার শাস্তি স্বরুপ আইসিসি থেকে ১৮ মাসের জন্য নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার কথা এই অলরাউন্ডারের ।
শোন যাচ্ছে সাকিব আইসিসির কাছে শাস্তি কোমানোর আবেদনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন।
এমনকি আইসিসির কথা অনুযায়ী জাতীয় দলের অনুশীলন ও প্রস্তুতি ম্যাচও ত্যাগ করেছেন। এতে আইসিসি সাকিবের ব্যাপারে বেশ নমনীয়।
বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সাকিবের পাশে থাকবে। আর এতেই শাস্তি কমতে পারে তার। অপরদিকে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলও সাকিবের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন।
এই অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি পাঁচ বছর এবং সর্বনিম্ন ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা। ধারণা করা হচ্ছে সর্বনিম্ন শাস্তিই পাচ্ছেন এই টাইগার অলরাউন্ডার।
যদিও অফিসিয়াল কিছুই এখনো ঘোষণা করেনি আইসিসি বা বিসিবি।
চস/আজহার