আগুনে বোলিং যাকে বলে! এক মোহাম্মদ সিরাজেই কুপোকাত শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইনআপ। মাত্র ৪ রান খরচ করে ফাইফার বা ৫ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়ে ফেলেছেন ভারতীয় এই পেসার। ১২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে লঙ্কানরা।
অথচ কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতেছিলেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক দাসুন শানাকা। কে জানতো, প্রথমে ব্যাট করতে নেমে এমন বিপদে পড়বেন!
প্রথম ওভারে আঘাত হানেন ভারতীয় পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ। ইনিংসের তৃতীয় বলে তাকে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দেন কুশল পেরেরা (২ বলে ০)।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে সিরাজ-ঝড়। নিজের প্রথম ওভার মেইডেন দিয়ে শুরু করেছিলেন সিরাজ। পরের ওভারে এসেই তিনি দেখিয়েছেন ভয়ংকর রূপ। একে একে সাজঘরে ফিরিয়েছেন লঙ্কান ৪ ব্যাটারকে।
ওভারের প্রথম বলে পাথুম নিশাঙ্কাকে (৪ বলে ২) রবীন্দ্র জাদেজার ক্যাচ বানান সিরাজ। তৃতীয় বলে তিনি এলবিডব্লিউ করেন সাদিরা সামারাবিক্রমাকে (০)। পরের বলে চারিথ আসালাঙ্কাকে (০) কভারে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন।
হ্যাটট্রিক ডেলিভারিটি অবশ্য বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। কিন্তু পরিস্থিতি বুঝতে না পেরে যেন বড় ভুল হয়ে গেলো তার। পরের বলে শরীরের বাইরে খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ধনঞ্জয়া (২ বলে ৪)। ওই ওভারে ৪ উইকেট নেন সিরাজ।
নিজের পরের ওভারে (লঙ্কান ইনিংসের ষষ্ঠ) চতুর্থ বলে আরও এক শিকার সিরাজের। উড়িয়ে দিলেন লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকার অফস্টাম্প। ৪ রানেই পূরণ করে নিলেন ফাইফার।
বলের হিসেবে এটি চামিন্দা ভাসের সঙ্গে যৌথভাবে দ্রুততম পাঁচ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড। ২০০৩ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে তার সমান ১৬ বলে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন সাবেক লঙ্কান পেসার।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৯.১ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৩০ রান। দুনিথ ওয়াল্লালাগে ৫ আর কুশল মেন্ডিস ১৭ রানে অপরাজিত আছেন।
চস/আজহার